[খন ৯০০২ টিটু 96/,৬৫৭ 4 100010 0£ 78179211 17১0০15 69 26722686252) 01296 টি প্রথর্ঈ প্রকাশ । জ্যৈস্ ১৩৬৪ প্রকাশক ।॥ দেবকুমার বসু বিশবজ্ঞকান। ৯1৩ টেমার লেন। কলকাতা ৯ মুদ্রক। শ্রীপ্রভাতচন্দ্র রায় শ্রীশগোরাঞ্ঞ প্রেস প্রা ছিঃ1 & চন্তামাঁণ দাস লেন। কলকাতা ৯ রূপকথার দিনগুলি এখন দেখা অদেখা রাত্রির বয়স যুগে যুগে " আশ্চষ বাতি একটি হৃদয় হারিয়ে যাব সুখ ঢেকে দাও ১২২ ১৩ ১৮ ১৯ নস ৮৬০, ২৫ ১৮৮ ষ্ঠ ৪) ৩২ ৬৩৩ ২৩৫ ৬৮৮ ৩৯ ৪০ ৪১ ৪৪8 ৪৫ ৪৬ 9৭ ৪৮৮ ৪০১ ৫২ ৫৩ ৫৬ ৫ প ৫৯১ ৬১ ৬২ ৬৩. ৬৪ কাদ্গমাডিজচর্স এই কব্ির কাদামাটির রগ সম জঙ্গল কেটে আমরা বসত গড়েছি। অনেক মাহুষের বাস। পাহাড়ী কাঠের চাঁল। কাদামাটি টেপা কৰ্চির বেড়া। পাতার ছাউনি ছোট বড় ঘরের সারি পাশাপাশি । কাঁদামাটির ছুর্গ। দিনের বেলায় আমরা কাঁজ কবি মাঁঠে ক্ষেতে করাত কলে । সন্ধ্যেষ ঘরে ফিরে ঝুমুরের আসরে বাঁচবার গান গাই | রাত্রের আঁকাশের অনন্ত সৌন্দ্যস্থধ] শুধু আমরাই পান করি। আমরা বন্য সরল সতেজ । আমরা মাটির সম্তানি। অরণ্যের রূপের আঁরশিতে জীবনের প্রতিবিদ্ব ফোঁটে। বাবুজনের! জিপে করে এসে জঙ্গলের কাঁঠ কাটার তদারক করেন। করাতের গান গেয়ে আমরা বড় বড় গাছ কাটি, দড়ি বেঁধে গাছের গুড়ি টেনে নামিয়ে আনি লরির কাঁছে। করাত কলে কাঠের গুঁড়োয় মাথার চুলে পাক ধরে। ঈশ্বরের নামে শপথ নিয়ে আমরা ধর্মভীরু | মানুষের ছুংথ মীন্ষকেই তো! দেখতে হবে! হাপপাতাল নেই । .রোহিনীর পৌঁয়ীতী বৌয়ের কাতবানি, ম:লাঁর মীয়ের ওলাউঠা ! প্রতিবেশী ঝাঁপিয়ে পড়ে অন্যের বিপদে আপদে বিনা দ্বিধায় । রাত দুপুরে বাঘের ডাঁক আসে জঙ্গলের ঘন ঝোপ থেকে; অন্ধকারে নেকড়ের জলজলে চোখ টর্চের মতো | কেনেস্তারা আর মাঁদলের ভয়ার্ত শব্দে বাঁঘ ভালুক পালায়, আগুন জেলে তাঁদের ভয়ের সঞ্চার । তবু গরুট1 মৌষটা বাছুরটা ছাঁগলট! মুরগিটা হাঁসটা বাঁঘের পেটে যাঁয়। কখনও বা এর ঘরের শিশু, ওর ঘরের শধ্যাশায়ী বুড়ো বাঘের থাঁবার শঁচড়ে আক্রান্ত । আমরা আর ভয় পাই নে। ৪ মন্ত্র পড়ে মৌমাছির সঙ্গে যুদ্ধ করে মধু আহরণ। অজগর কেউটে আদিম যুগের প্রতিবেশী। পাঁশের ছোট খালে অধিবাসী কুমীরের নাতিদীর্ঘ পরিবাঁর তীরে উঠে এসে রোদ পোহাঁয় মরার মতে! অনড় অচল। স্থযোগ মিললে মানুষের পদধ্বনি অনুসরণ করে ছু-একজনকে সাবাড় করে। ঝর্ণার জলে তৃষ্ণা নিবারণ, ক্ষেতের 'ফসলের প্রাণ রক্ষা পায়। উঠোনের মাচায় ঝোঁলে লাউ ঝিঙে সিম, শশা, করোলা, হাটের দিনে ঝুড়ি বোঝাই শহরের পথে চালান হয়ে যাঁয়। মেহনতের পয়স! কাপড়ের খুটে বাধা । সংসারের পু'জিপাতি | জঙ্গল কেটে গ্রাম । গ্রামের মাঝে হাট । হাঁটে কত দোকাঁন। জমির ফসল বেচেই কেনা হয় কেরোসিন তামাক মসলাপত্তর। আড়তদাঁবের ঘরে গ্রচুর মজুত মালের হিসেব রাখা দাঁয়। বাবুজনেরা প্যান্ট সাট পরে হাট দেখতে আঁসেন। গড় করে পেন্নীম করি। আমরা গরীব মানুষ তাদের দয়ায় বীচি । অন্নদাতার মাঁন রাখার দায়িত্ব আমাদের । মদের গেলাঁসে মুরগির বোষ্ট তাঁদের চাই । আমাদের জন্যে ছোলাঁভাঁজা ঝুমুর নাচের সময় বাঁবুজনদের জন্তে চেয়ার পাতা । কাঁদামাটির দুর্গে বৌ ছেলে নিয়ে গড়েছি আমাদের স্বর্গ । বাহিক জগতের কোলাহল রাজনীতি উত্থান পতনের কোন সংবাঁদ ছুর্ভেছ্চ দুর্গের প্রবেশপথ খুঁজে পায় না। ছুর্গের তোরণে জঙ্গলের ডালপাতার ফাক দিয়ে আসে স্র্যের আলোর টুকরো, জ্ঞানের আলে! কদাচিৎ ৷ পূর্বপুরুষের ছিল অধনগ্ন সভ্যতাহীন। তারা কথার জবাঁব দিত তীর ধন্ছকে । আমরা নতমস্তক, বিনয় বাঁধ্যতা ভক্তি কৃতজ্ঞতা ক্রমে ক্রমে শিখেছি। জঙ্গলের কাছাকাছি ছোট ছোট পাহাড়, অধিকৃত এলাকার মতো । পাহাড়ের গায়ে ঢালু উপত্যকা জুড়ে তাজা ফসলের সবুজ ক্ষেত হাওয়ায় নাচে রোদ্দ,রের সোনা রঙে মাখা চাদরের মতো । ১৩ পাহাড়ের মাখাঁয় আকাশের নীল উপবনে সাদা কালো মেঘের মেলা, যেমন পাহাড়ী খাঁদের কিনারে ভেড়া ছাগলেরা এলোমেলো চবে; সেখানেও গানের রক্তের বদলে গড়ে উঠেছে ছোট ছোট ছূর্গ। শীতের দিনে বড় কষ্ট । পোশাকের অভাব। শীত দারুণ নির্দয় । ছেঁড়া কীথায় কম্বলে প্রাণ বাঁচে না॥ দয়ালু বাবুজনদের পুরনো প্যান্ট কোট সাঁট অন্ষগ্রহভাজনেরা উপহার পায়; বাকি সকলের ভরসা দিনের বেলায় স্যর আলো, আর রাত্তিরে শুকনো কাঁঠপাঁতাঁর "সাগুন। মাটির ঘরের মেঝে যেন বরফের কারখানা তামাকের ধোঁয়ায়, চায়ের পাতাঁর গরম বসেও যখন শরীর গরম হয় না, তখন মদের গেলাসে হাত পড়ে । তারপর মেয়ে পুরুষেরা বুদ্দ হয়ে ভেতরে বাঁইরে পড়ে থাকে জ্ঞীনহীন, ভোরের আলো ফোট! পর্যন্ত । মেহনতী কষ্টের পয়সা মদ হয়ে যাঁয়। ম্দ আমাদের শীতের ওষুধ | আমাদের গ্রামের পেছনের দিকে যে রাঁমশিল। পাহাড়, ওখাঁনে থাকেন মহাকাঁল। ঝড়ের দাপট আসে ব্্ধার প্রারস্তে নটরাজ মহাঁকাঁলের তাগুবনৃত্যে জঙ্গলের গাঁছ ভাঙে । খড়ের চাঁলে হাওয়ার নাচন স্বন স্বন স্থুর তুলে ছিটকে যায়। উমা মীয়ের করুণাঁধাঁর! বর্ষা হয়ে আশীর্বাদ বিতরণ করে । ক্ষেতে ফসলের বাহার । পাহাড়ের খাদে জঙ্গলের নালায় বর্ধার জল জমে ঝর্ণার গানে পাখীর কলকাঁকলি। বুনো! ফুলের রঙের মেলা পাহাড়ে জঙ্গলে গ্রামে; দুর থেকে কাঁদা মাঁটির হুর্গগুলোকে ছবির মতে। সাজানে! মনে হয়। ১১ অবসরের কবিতা! কর্মব্যস্ত মুহুর্তের ষথারীতি পলাতক হলে স্থ্য ধীরে পাঁটে নাঁমে প্রত্যহের হাঁরে। আমি একা । একান্ত নির্জন । যেন আমরাই সত্তার কাছে পরিচয়হীন | পথে পথে ছুটে এসে দক্ষ নটীর ভঙ্গিতে সহল্স জোনাকি গড়ে অলসের অবসর তরু, সীমাবদ্ধ ছায়া তাঁর শুদ্ধ করে ব্যবহৃত মলিন হৃদয় । মাছের ঝাঁকের মতো তখন কত যে কথা, যেন কবিত।, ছুরস্ত শিশুর মতো! এলোমেলো হুটো"পুটি করে; পাহাড়ী খাঁদের শীতে পুণ্তীভূত কুয়াশায় স্মৃতির মেলা সারি সারি পাঁল তোলা নৌকে।র ছাক্বার মতো । বুক্ষে পত্রে ফলে ফুলে বসস্ত বাহারে ঘুড়ির স্থতোঁর মতো স্থির প্রেরণা আনে বাতের আসর ; অবসর সাগবেতে ভেসে আসে অতিথির মতো কথার ঝিছকে মুক্তো তুচ্ছ হর্ষ ব্যথা । ৯ স্বগত সূর্যের জলম্ত কুণ্ড থেকে ছিন্ন এক খণ্ড মহামূল্য ধন, রাত্রির সমুত্রে অন্তহীন গহ্বরের উর্বর টার্ভের অন্তস্তলে জন্ম নিল নব গ্রহ । পুথিবী। ক্রমে লভাগুল্স প্রাণী স্থষ্ট সেই আদিকাল থেকে ইতিহাস রেখে চলে ক্রমবিকাঁশের ধারা । দিনগত আশীরবাদে সমুদ্রের বক্ষে তপ্ত অগ্নিকুণ্ড নিত্য রস আহরণে নির্বাপিত হলে, বাঁলি মাঁটি শিলা দাঁন| বাঁধে সহস্র বছর ধরে। জীবকুল, ক্রমে মানুষেরা আসে । তাদের বংশধর সংগ্রামী পুরুষ কাঁলজয়ী পরীক্ষায় শ্রেষ্ট স্ষ্টি পুরস্কৃত স্বীয় গৌরবে। তারপর শান্ত বিশ্বপৃষ্ট শ্যাম সবুজ সুন্দর হয়ে আসে, উত্তাপের চিহ্ন লুপ, সমুদ্রের মাতৃদ্সেহে পূর্ণ বিকশিত । আজ বৈজ্ঞানিক আনে হাতের মুঠোবর মধ্যে গ্রহ উপগ্রহ, চন্দ্র স্্য গতিপথে সঙ্কেত রেখে যায় পৃথিবীর মাঁনমন্দিরে | স্র্ধপিতাঁর রসে সমুদ্রমীতার গর্ভে পৃথিবীর জন্ম ইতিহাস, তাঁর চেয়ে ব্ড় সত্য ঈশ্বরের দরবারে আর কিছু লিখিত হবে না । সেই শুদ্ধ মাটিতে স্বর্গের শিশুরা আসে; সে-মাটির গন্ধ পরিচিত | শিশুরা'হাত পা ছোড়ে, কাদে হাসে, গান গেয়ে দোলনাতে দোলে, তাঁরপর মাতৃক্রোড়ে নিদ্রীমগ্তর। স্বপ্পে অকারণে নড়ে চড়ে; চন্দ্রের আকুতি বৃদ্ধি প্রতিদিন প্রকৃতির নিয়মের ঘরে ; তেমনি কোন ছরন্ত শিশুর শয্যার পরে যার! বাঁচে মরে, র্বারের বল ঝুনঝুনি বাঁশী তুলোর পুতুল নিয়ে খেলে, রঙিন পৌষাঁকে সেজে হাটে পা পা এলোমেলো ভ্রমণের স্বাদে ঘাসের উপরে ; তাঁদের খেলার সময উধর্ব আকাশে মেঘেরা ভাসে, * বাগানের বাঁশঝাড়ে ব্বনন্বন বাতাসে শুফ ঝরা পাতা উড়ে পড়ে, খড়ের গাদীর পাশে কাঠীলের ভালের নীচে নিরিবিলি ঘুখু পাখী ভাঁকে, শালিখের লোভী ঠোঁট গাঁছতলে ধূলোমাখা কামরাঙাদের ঠোকরায়। ১৩ সদ্যোজাত বাছুরেরা অকারণ আনন্দে ছুটোঁছুটি মাতামাতি করে। খেলা শেষে ঘরে ফিরে যাঁয় সব শিশু । তবু স্থধযের আলো ঘরের টিনের চাঁলে, ছাদের কানিশে মাখা! থেকে যায়। নির্জন দুপুরে ছোট পাঠশালায় সমস্বরে নাঁমতা পড়ার গুঞ্জন, যাত্রীর আসরে নির্দয় কংসের মতো গুরুমশাই কঠোর শীসক। হলুদ রোদ্দরে মজা খালের বদ্ধ জলে কচুরীপানার ঠাঁসাঠাসি, ধান ক্ষেতে ছোট ছোট পাখিদের ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে চলা হালকা! পাখায়, মন্দিরের সিড়িগুলো তেঁতে ওঠে তপ্ত উন্ননের কড়ার মতো; সানশেষে সধবাদের দুপুরের পূজো! দিতে বড় বেশী দেরী হয়ে যায়। হাটের পথের বাকে বুড়ো! আমতলায় নানা ছোট দৌকাঁনে খদ্দের নেই । তাই দোকানীরা ঝাঁপ ফেলে হয়ত ঘুমোতে গেছে ঘরে। পুকুরের ভাঁডা ঘাঁটে মাথায় গামছা বেধে ছিপ ফেলে বসে মাছের কৌশলী চারে অগণিত প্রহরের হিসেব থাকে না! বাউলের একতারা সন্মেহে ছুই আঙুলে তুলে ধরে উদাসী বাতাসে গুনগুন গান গেয়ে পথ চলা! ক্লাস্তিহীন ভরা দুপুরের ফাঁকে ফাকে, গ্রামের নদীট! গেছে একেবেকে পথটারই মতো! কত দুরে, জীবনট1 কখনও সহসা পথেরই মতো! কোনখানে থেমে যেতে পারে ! অপরাহ্ু গৈরিক রঙ মাখে মাঠে ঘাঁসে বনে মনে, সন্ধ্যার আগমন স্থনিশ্চিত অক্ষরে লেখা থাকে আকাশের গায়ে, তারার ফোয়ারা ষেন উৎসবে ফুলঝুরি রূপে সমুজ্বল | জোনাকিরা মিটিমিটি কৃত্রিম গ্রহের মতো রহস্ত ছড়ায়; বিলের কুয়্াশ! থেরা বুনো ঘাস সাঁপ ব্যাঙ পৌকা! মশা! কেঁচো, অন্য এক পুথিবীর স্বাঁদে মগ্ন অন্য চেতনাঁয় আনে জীবনের ভাঁষ! | উদ্গ্রীব মনেরা গিয়ে সেথানে আস্তানা পাঁতে আলস্তে স্বপ্রে নেশাষ, অনস্ত রহস্য জমে সেখাঁনের রাত্রির আকাশের নীল শীমানায়। দুরে দূরে ছায়াধন গ্রামের কুটিরে প্রাঙ্গনে তুলসীমূলে প্রদীপের ছোট ছোট শিখাগুলি, মনে হয়, কত মূল্যবান পেহময়, যুগ যুগ ধরে আনে কল্যাণের শুভ বাণী ঘন শঙ্খধবনি, ১৪ নিভীক আগ্রহে জন্ম নেয় কোন বিগ্রহে নিঃসংশয় বীরের হৃদয় । বিশ্বজয়ী মন্ত্র নিয়ে কত কত অমানিশা পৃণিমারা আসে, বাত্তিরের নানা বর্ণে গাছপালা ফল ফুল ক্যানভাসে ছবি হয়ে ফোটে । মহাশূন্যে বৈমানিক ট্রীয়ারিং ধরে উরে সামুদ্রিক পাখীর মতো বাতাসের স্তরভেদে পাড়ি দেয় দূরান্তরে দুঃসাহসের নেশায়, বিশ্ব ব্রহ্মীণ্ডের ছবি তার করায়ত্ত । মনে হয়, অতি সহজে মুঠো মুঠো তারকা সে জোনাকির মতো! ধরে আনতে পারে উপহার দিতে কোন পুশ্যবতী রমণীকে আয়োজিত সান্ধ্য আসবে; বিমানের প্রপেলার ইঞ্জিনের ডাঁনা কত গ্যাস বায়ু শুণাতার চাঁপ স্পর্শ করে উড়ে চলে চেনা! অতিথির মতো সহল্র যোজন, পদতলে পড়ে থাকে বিশ্বের প্রকৃতি শোভা দিগন্তের স্থনীল বলয়ে । কখনও ক্লীন্ত পাঁখা খাঁছযের তাগিদে নাঁমে অকন্মাৎ বন্দরের দ্বারে, বিমানেরা বিশ্রীমের নৈণ প্রস্তুতিতে মাঁতে আকাশের নীচে । ইঞ্জিনের নিদ্রী। তাই শহবের হোঁটেলেতে বৈমানিক নাঁচে পানীয় খাছ্যের লাদে ; সব ভুলে খায় পাঁখী মন ক্ষণিকের অবসরে, ঈথবের গন্ধ তাঁর গাঁয়ে নেই । দাঁমী সাবানের ফেন। বাথরুমে ফৌঁয়ারার জলে ধোঁষ ক্লীন্তিতে জমে ওঠা ঘাম। পৃথিবীর বৃত্ত বুকে সম্তাঁনের মতো নদী পাহাড় জঙ্গল মরুভূমি, দীর্ঘায়ু চিত্রের ভিড় সুনিবিড় মিলনে পাঁশাপাঁশি ঘন অবস্থান, দুর্গম পর্বতে বনে হিংস্র প্রাণীদের মধ্যে ভয়ঙ্কর খেলা তাদের গুহায় গর্তে কীঁচা মাংসে দুর্গন্ধের ধোঁয়ায় ছোয়ায় আরামে ঘুমের স্বপ্ন প্রতি রাত্রে আসে । ধন্য বন্য কাঁমনায় বাথ সাপ আবরশোলা শজারু বাছুড় বানর পেচক শশক আদিম প্রকৃতির বশে অলৌকিক প্রয়োজনে বিবিধ মৃ্তিতে ক্রু,র লোভী নির্দয় ক্ষুধার্ত আত্মারা আসে পরিচিত ভানে ক্রমে ক্রমে তাদের শরীরে মিশ্র সংগ্রামে কলহে ঈর্ধায় ক্রোধে মত্ত হয়ে তাঁদের মতোই বন্য জগতের লতাগুল্ম ঝোপ মহীব্দপ সাময়িক ঝড় তুলে লণ্ডভণ্ড করে আদি বিক্রমে আক্রোশে। ৯৫ তৃষ্ণার্ত জিহ্বার! ঝর্ণার জলে তৃপ্ত | সান নদীতে |: মরুভূমি বালুকাঁর উদ্দাম ঝড়ের চাপে ধৃম্রজালে দিশাহারা হলে, উষ্টপৃষ্টে অগত্যা সাবধানে মুখ গুজে যথাঁরীতি আত্মরক্ষা বিধি | ছুবন্ত নদীর বুকে ধীবর নৌকোঁর মেল ডোবে ভাসে ঢেউয়ের ভেলায়, মাছরাঙা চিল বক মৎসম্ন নিয়ে ওড়ে তরঙ্গের বুক ছুয়ে ছুয়ে। তীরে বাকুণীর মেলা । নাঁনা গ্রাম থেকে আসে নান! মানুষেরা, লাল ফিতে নীল জাঁমা কাঁচের বাসন চুড়ি, হরেক দোকানের ভিড়, গেলাঁসে বরফে রঙিন শরবত পাঁপড় জিলিপি ; লোভ আসে। শুকনে। থেজুরগাছে বসের সন্ধানে পাখী বৃথাই ঠোকবায় ; কাঠবেড়ালীব! দ্রুত পলাঁয়নে রেখে যাঁয় পদচিহ্ন মাটির ওপরে ; চাষীর লাঙলে মাঁটি নরম মনের মতো ফালি হয়ে ছড়িয়ে পড়ে। বাধ্য বলদের।। সযতনে গামছাঁয় বাঁধা এনামেলের থাঁলাঁয় দুপুরের ভাঁতি ডাল লঙ্কা পিরাঁজ নিজ হাঁতে চাষী বৌ গুছিয়ে দিয়েছে, ঠাণ্ড জল ঘটিতে। পান তামাক বিড়ি । বিস্তীর্ণ জলাভূমি । তার মাঝখাঁনে পাতা আকাবকা রেলের লাঈন, সকালে বিকেলে চলে কয়লার ইঞ্জিনে ধিকিধিকি দীর্ঘ মাঁলগাড়ী, হুইসল শুনে দূর গ্রামের বাগানে জমে কৌতুছলী শিশু বৃদ্ধ নারী । আরও গ্রাণ আরও প্রেম আঁবও অনুভূতি রস অনর্থ ঘ্বতের স্থবাসে জীবন ক্ষেতের বুকে পিপীলিকা মাছিদের প্রাণের ভিতরে কৌটোয় জঁরক রীতিতে সঞ্চয়ন করে অমরত্ব মন্ত্রের দাবীতে ক্ষুদ্র জীব প্রাকৃতিক নিয়মের অব্যর্থ শিকার । তবু আগ্রহের ব্যাপক স্রোতে কে কৌথাঁয় ভেসে যাঁয় জীবনের অনির্দিষ্ট নাগরদোলার ঘুণিতে, কে তাঁর হিসেব রাখে ? ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জীবনের নিতান্ত ক্ষণ অবস্থান স্স্টির বিপুল দেহে বরথচক্রে বিদ্যুতের প্রবাহশক্তির ধাঁরা অব্যাহত রাখে । সেখানেও অস্পষ্ট শব্দের! জন্মলাভ করে বায়ুর সুক্মতর স্তরে । গারকের! গান গাঁয়। বক্তার কথার ঝড়। হাসি। ক্রন্দন। কোলাহল । পাখীদের নীড় খোঁজ মোহিনী স্থরের ডাক কাঁননের শাখায় পাতায়, শোকে আর্তনাঁদে তীব্র চীৎকার । ষড়যন্ত্রে ফিসফিসে ভাষার যাঁছু, কুলুকুলু শ্রোতন্বিনী গতিপথে বর্ধার রিমঝিম সঙ্গীতের কুয়াশা ছড়ায় । ১৬ মহা ওক্ষারধবনি মেশে পৃথিবীর সবখানে শবের নদীপথ ধরে হৃদপিণ্ড ধুকধুক প্রাণের স্পন্দনে নিত্য অস্কভূত শব্দের পাহাড়ের মতো । আনবিক পৃথিবীতে স্বপ্ন আছে, যুদ্ধ আছে, আছে ছন্ব মৈত্রী বন্ধন, মানুষেরা জানে শেখে সবিশেষ মঙ্গল অমঙ্গলের সংজ্ঞা বিশ্লেষণ, তবু শুদ্ধ বিশ্ব শাস্তি প্রেমের বিস্তৃত প্রাণে ছবি শ্ত্াকে না তো! আকাশে চন্দ্র সত্য । মাটিতে শুভ্র বছ্ন্নে সভ্য মান্থষেরা স্পষ্ট রেখায় আঁকা জ্যামিতির স্বতঃসিদ্ধের মতো হয় না তো! পৃথিবীর মানচিত্র আকা হয়েছিল কোন মরন্থ্মী সভ্য সভায়, তার মৃত্যু গ্রন্থের রচয়িতা ভাঁবীকাঁলে আনবিক প্রতু। যে ভাঁতে শিল্পী গড়ে, সেই দক্ষ হাঁতে ভাঙে প্রাণের সম্পদ | আমরাও প্রতিদিন ঈশ্বরের মিথ্যা নামে যক্ষার জীবান্থ ছড়াই, আনবিক মন্ত্রে তাই কোনদিন ধূলিস্তাঁৎ হবে সব প্রার্থনার ধন, নিছক কৌতুকে যদি সত্য হয় পাগলের অসম্ভব স্বপ্র কুহেলী, বিকাঁরে মুছিত রোগী দৌবল্যে মলিন শয্যা পরে মৃতুযুমুখী, হয়ত সেদিন অসম্পূর্ণ ইতিহাসের অপহৃত ছিন্ন পাগুলিপি বিশ্বের বুহুত্তম বারুদের গুদামেতে অগ্নিদঞ্ধ হবে। কাদামাটি-২ ১৭ দান কেউ যদি অন্ুবোধ করে পেতে চাষ, দাও তাঁকে তোমার মাথার মুকুট, হীবরে জহরত, ধন বত্ব; দিয়ো না তোমার অশ্রু, তোমার সত্া ৷ কেউ যদ্দি কাঁতিরভাবে প্রার্থনা! করে, দাঁও তাঁকে তোমার বিছ্যা, জ্ঞান, উপদেশ ; দিয়ো না! তোমার মান, তোমার গব | কেউ যদি জোর করে কেড়ে নিতে চায়, দাঁও তাঁকে তোমার মুখের গ্রাস, গায়ের পোষাক ; দিয়ো না তোমার বিবেক, তোমার ব্যক্তিত্ব । কেউ যদি আন্তরিকভাবে কামনা করে, দাও তাঁকে তোমীর পথের সন্বল, তোমার প্রাসাদের এশ্বব ; দিয়ো না তোমার শাস্তি, তোমার সামনা | কেউ যদি দাবী করে, দাও তোমার ভঙ্গুর দেহ, দিয়ো না তোমার হৃদয়, তোমার অমর আত্মা । ১৮৮ জ্যোতিক্মান জ্যোতিক্মান সূর্য, দিগন্তের স্বর্ণপ্রাঁস্তে তোমার পুণ্য উদয় স্থস্টির কারখানায় অশ্বশক্তি নিয়ন্ত্রণ করতেত। দিকে দিকে সকল জ্ঞাত অজ্ঞাত সাগরে দ্বীপে পরতে জঙ্গলে, নগরে বন্দরে ক্ষেতে খামারে বাজপথে, গ্রামে গঞ্জে বিশ্ব মাঁনচিতের বিভিন্ন ভৌগলিক অঞ্চলে তোমাঁর প্রেবিত শক্তির বিস্তার ঈথবে.ঈথবে । গাভীর অঙ্গে যত লোম, মাছের অঙ্গে যত আ্বাশ, সাগরবেলায় যত বালুকা» তোমার জন্যে তত প্রেম সঞ্চিত । কাঁলে। পাখীরা কখনও সাদ হয়ে উঠলে, ত্বর্গের অশ্বদের স্বপক্ষিরে ধূলিকণাঁবরা মুখরতা পেলে, দূর জলপ্রপাঁতে শব্দম্য় শ্লোকের ছন্দ জাঁগলে, যুবতী ময়ূরীর! অগ্দরাঁদের মতে! নৃত্যে মাতলে, তোমার প্রকৃত স্বরূপের গুপ্ত রহস্যের সংজ্ঞা প্রকাশিত হতে পাঁরে ঈশ্বরের পবিত্র নামের মতো । দিগন্তের ওপারে মাতিক্রোঁড়ে তোঁমাঁর নিয়মিত নিদ্রাকাঁলে মহাঁপৃথিবী যখন অক্সিজেনহীন অন্ধকারের ছায়াষ ডোবে, তখন সরল প্রাণীরা থাকে নিদ্রামগ্র । পেচকেবা নিঃশব্দে বসে ডুমুরের ভালে । শৃগাঁলেরা বিনিব্্র বীত্রির প্রহর গোঁণে। পশ্চিম দ্বিগন্তের নিকুদ্দিষ্ট তাঁবাঁর! উপস্থিত, ঘাসের শীষে ঝুলে থাকা ঝবিঝি পোকার! উল্লসিত, জাঁমরুলের পেয়ারার ডালে শালিখের ঘুঘু পাঁবীরা ঝিমোয় শ্বশানের অশথে বাঁশে অনুগত হাওয়ার ভয়ার্ত কাঁপন লাগে। দুষ্ট ছুশমনেরা জাগ্রত চোখে কুমতলবের ফাঁদ পাতে, হিংল্স জন্তব1 সর্পেবা কালো গঙের বাইবে এসে হিংসার শিকারের খোজে প্রাচীন বিষদ।ত বের কবে; ৯৪১ চুরি জালিয়াতি খুনখারাপি নির্ধাতন দুক্র্মের পালা অবিশ্বাসী অন্ধকারের বর্ণহীন পর্দার অন্তরালে ব্যস্ত, কুৎসিত পিশাচের! পাকের হুর্গন্ধ ছড়ায়; প্রবৃত্তিবা কুটিলতর রুগ্ন ও নিষ্টর হয়ে ওঠে। নিদ্রাভঙ্গের পর তোমার দ্রুত আবিভাবের শুভক্ষণে তোমার আলোর সৈনিকেরা দুর্বার গতিতে ছুটে এলে, হুর্জনেরা অবশ্যই পলাতক | পৃথিবী আবার আবিবের রঙ মাখে আবার নিরীহ গাভীরা আরামে জাবর কাঁটে, রুষক মজুর মেহনতী মানুষেরা দৈনন্দিন কাঁজে বেরোয়, শিশুর! গাঁয়ে ধুলো! মেখে আপন মনে খেলা করে, নদীর জলে নৌকোরা পাঁল তুলে উজান স্রোতে ভাসে, শীল পাঁখীরা মুক্ত আকাশে পাখনা মেলে দেয়, মগশাবকেরা বাছুরেরা খরগোশের! ইছুরেরা ব্যাঙেরা এদিক ওদিক যখন তখন লাফিয়ে চলতে পাবে। রাঁজপথে জনকল্যানে দায়িত্বশীল রাঁজপুরুষেরা কর্মবাস্ত হয়, সমুদ্রের তিমি মাছের! গভীর জলে সীতার কাঁটে, ভিমের খোলার ভেতরে তুলতুলে শাঁবকের মতা নারীগর্ডের ভ্রণেরা মহ্‌ সাঁড়। জাগায়, জলহস্তীরা আলম্ত ত্যাগ করে অবগাহন শানে নামে, ঝতুরাঁজেরা যথ! সময়ে পরিক্রমায় ভূল করে না। তোমার ব্যাপক প্রসার মঙ্গল বিছ্যুতৎ্প্রবাহে স্বচ্ছ প্রাবনে সবগ্রাসী আলিঙ্কনের দীর্ঘ বাহু অজ্ঞাত যাছুতে বাড়ালে, আগাছার পরবে ফড়িং বসে' গাদা ফুলে বুনো প্রজাপতি, খড়ের শীষে বাতাসের চুম্বন, কীচ1 ধানের বুকে ছুগ্ধের স্বাদি, তৃব্যার্ত পথিকের জন্তে দীঘির শীতল জল, মরুভূমির তগ্ড বাঁলুকাতেও উটপাখীর গতি অব্যাহত; নির্জন প্রহরে বিলাঁসিনীর হতাশার করুণ কান্না দুর্লভ তিবস্কীবের মতো আলোর ঝড়ে মুছে যায়, ২০ গবিত বীরের আকম্মিক পরাঁজগ্ের প্লানির অবসান ঘটে সত্যের স্থির দৃষ্টান্তের নির্দয় বেত্রাঘাতের চেতনায় । শজারুর গর্তে লাল পি'পড়ের আশ্রয় নেবার কৌশল বার্থ হয়; মাতৃছুগ্ষে শিশুরা পুষ্িলাভ কনে শক্ররা কখনও মিত্র হলে, এবং কুম্থমে পরাগ সঞ্চারিত হলে, যুবতীর বক্ষস্থলে পদ্ম ফোটে, অক্ষিপষ্টে কামনা জাগে ; ভক্তেরা ফুলে চন্দনে সেজে দেবালয়ে বসে তৃপ্তি পায় । বিজ্ঞানের অদৃশ্য দূতের! 'স্লানাগার বন্ধনশীলা থেকে চক্দপৃষ্টে ট্রীন্সমিটার স্থাপন করে । গর্দভের স্ুবুদ্ধি, এঞ্জের খরগতি, কুব্জের কন্দর্পকান্তি, রত্বাকর হয় বাল্সিকী 7 গ্রামোফোন রেকর্ডে হিতোঁপদেশের বাণী কখনও সফল আনে । জ্োতিয্মীন, তুমি দাও পরম পিতাঁর মতে। জীবন ও জীবিকা, শিক্ষা সভ্যতা সংস্কৃতির আদি ভাষা; তোঁমাঁরই অনুপ স্যষ্ি সৎ ও অসৎ, সাধু ও শয়তান, ছোট ও বড়, নিত্য ও অনিত্য ৷ গৃহকোণে বন্ধনকাধে পটু কুমারীর দুরুদুকু বক্ষে পবিত্র প্রেমের গুঢ় মন্ত্রের মতো উর্বর ক্ষেত্রের মাটিতে জলসিঞ্চন করে তুমিই ফসলের ম্রহ্থম আনো ; তোমার করুণায় নগ্ন ও অশুচিব| শুভ্র পোধাক পাঞ্গ, দরিদ্রেরা দুরন্ত ক্ষুধায় রুটির টুকরো খেতে পাবে, শোকাতুর] বিধবারা ক্রমে পলিমাঁটির পেলব সানস্বন| পায়, প্রতিবেশীদের অনর্থক ছুর্ভাবনাব যন্্রনার উপশম হয় । এই ব্রহ্মাণ্ড তোমারই অভ্রবর্ণ মাধ্যমবিশেষ আশ্চর্য দোলক । ২৯ মৌমাছি স্থবর্ণরেখা নদীর ওপারে গ্রামখানি । তার কাদামাঁটির পথের হুধারে কেয়াফুলের ঝোপ, আর মাঠের কিনাবে ঝাঁউবনের ঘন অভিসার । সেই গ্রামে লতাপাতা কুঞ্জে ঘেরা ছোট্র কুঁড়েঘর । বাঁশের সাঁকে। পার হয়ে আকাঁবাকা তমঠে। পথ ধরে নারকেল স্থপাবি বনের ঈশান কোণে যখন পৌছলাম, তখনও মাঠের বুকে সাঁদা বকেব। লম্ুপায়ে জলনিড়ি মেঘেদের মতে! চলে ফেরে, চঞ্চল ফড়িং খেল। করে আগাছাব পাতায়, ঘাসে । ছায়াঘন গ্রামটির পথ ধরে শ্রীশ্মের প্রশান্ত দুপুরে চিনতে ভুল হয় না সেই হোট্ট কুঁড়েখাঁনা। এক ঘটি ঠাণ্ডা জল 1 পায়ের কাঁদামাঁটি ধুলাঁম | রঙিন গাঁম্ছাঁয় হাতি মুখ মুছলাঁম । তৃষ্তায় জল । শ্রাস্তিতে তাঁলপাতাঁব পাখার হাওয়া । ঘরের মেঝেয় মাছির পাতা । সুগন্ধ ধুপদাঁনি। বাট ভরা তাম্বুলের পসরা সৌহীন মসলাঁয় সাঁজা ৷ বাঁডা ঠোঁট । মিষ্টি মু হাসি । লখ্ঘু সক্ষোঁচ। বাগানে আম কাঁঠালের মঞ্জরী ; ধূসর পাখীদের মেলা । উঠোনে কুমড়োঁর মাচায় কচি কচি ডগায় হলদে ফুল, তার পাঁশে তুলসীমঞ্চের শুদ্ধ বেদীর পরে তেলহীন মাটির প্রদদীপখানি নিবাঁপিত | সাটির দেয়ালে সুশ্রী আঁড্লে আকা! আলপনার বেখা। সে এক অন্য স্বপ্র । অন্য পৃথিবী | অন্ত জীবনের ছবি । সেখানে স্যমুখী বার মাস ফোটে অক্ষপণ সৌরভে, সেই ফুলে অফুরস্ত মধুর ভাগাঁর | অমুতের স্বাদ । ৯ স্র্যীলি ছুপুরে আমি পরাগপিয়ীস হল তা পয়াঁসী ভীরু মৌমাছির মতো ই ফুল থেকে এতটুকু মিটি ডে আমার তৃষিত উষ্ণ বুক ভরে নিতে । ২৩ ছায়। আবার চাদখানা ভাসছে সাগরে । জাহাজের ঢেউ-ছ্োয়া তটেব বালু - ক্ষয়ে ক্ষয়ে মিশে গেছে নীলাভ জলে । মনে পড়ছে তোমাকে আব থোকনকে শুধু । খাঁলাসীদের গরগবে উন্চন জ্বলছে, কড়াইতে চিহড়ীব ঝাঁল ঝাল লালচে অভবকাবি, এ পাশে কলাই চটা এনামেলেব থালায় লঙ্ক1 পেয়াজ আলু আব টমাটে+। মুবগিট। বাদ্শাহী প1 ফেলে ফেলে বাঁতিবে ডেকেব ওপর পায়চারি করে । বাতটুকু হাওয়া ভিজ, অব তাঁবাঁশুলো। জ্বলজ্বল চেয়ে আছে মাথার ওপরে | আমার এ চোখ ছুটে) ছলছল কবে, কত্তদিন তোমাদের দেখি নি, বল তো ! মালবাহী জাহাজের অস্থায়ী কেরানী, বস্তা গুণে গুণে আব মার্কা মেরে মলে জীবনেবু দিন কট প্রায় কেটে গেল! জাহাজ চলছে, তাই বিআীম মিলেছে । খোকনের আধো আধো! ছোট ছোট কথা, তোমার হাঁসিমাখা চোখের চাহনি আমার মনেব্র পটে আকা স্পই ছবি ; - আকাশের চাদে তার স্থির ছায়া পড়ে | -২৪ ্ষটি জলে স্থলে অন্তরীক্ষে জন্মের মতো! নিত্য স্থগ্িমায়াজীলে বাজ থেকে অঙ্কুর জাগে, প্রভাতের ম্মালে! যেন সগ্ভঃপ্রস্থত। আধ্ফোট] কুঁড়ির সরমে প্রেম অনুভূতি সোনা হয়ে আসে ভাবের বুকের মাঝে, তরমুজের রক্তিম অস্তরের কাছে, মাখনে তুলো য় স্বপ্রে অৃষ্টের মখমল কোমল আসনে ; প্রহবী পঞ্চভূতের সতর্ক কাবার লৌহ শৃঙ্খল তেমনি ভেঙে মধ্যযামের চাঁঞ্চল্যে একাকী উদ্ভ্রান্ত কামীতুবর চন্দ্রমুখ আদিম বিপুর মন্ত্রে চিরন্তন বিলাস যন্বনায় যেন কাঁদে কোন বালবিধবাঁর মনের গোঁপন কক্ষে সোম্রসের অতৃপ্ত তৃষ্ণায়; ঝাঁউবনের ঝিরঝিরে হাওয়ার প্রলেপে তীকে মোছ। দায়। ঝড়ের অসংযত দাঁপটে নগ্ন পৌরুষের কঠিন শপথ যখন সহসা ম্বত্যুকামী বন্ধ্যা নারীর অন্তিম বাসনার শিখ! নির্বাপিত করে, নির্জন সরসীতে তথন দীর্ঘ সন্তরণে ক্লান্থ শ্বেত রাজহংসমিথুন বিবশ পাখায় মুক্তি খোজে । স্মুদ্রবেলায় অনায়াসে কুড়ানে ঝিহ্থকের দাঁমে মূল্যহীন]1 নারীর হৃদয়ে পরকীয়। মুক্ত প্রেমে অণচ্ছন্ন মতির সম্ভাবনা অবাক্ত অশুচি ৷ তবু প্রেম পাহাড়ের নদীর মতো! আপনর বিচিত্র গতি প্রকৃতিতে আপনার পথ করে যত্র তত্র প্রাণের অদম্য তাগিদে নিধিচারে। প্রকৃতির অভিশাপ আশীর্াদে পরিণত । শঙ্কার ডঙ্কার উধ্বে প্রচ্ছন্ন পুলকে প্রাপ্ত আঁন্তম বাঁসনাঁর নিবৃত্তি সম্ভাবনাময় । সছ্যঃসিক্ত প্রেমরসে যুগ্ম দেহ প্রাণ বিনিময়ে নব নাটকীয় রসে পরিপূর্ণ গ্রাচুষের আন্বাদনে সার্থক দীর্ধাযু মহান? স্থন্ববের প্রতিমৃত্তি স্থষ্টির প্রয়ীসে তাঁই বর যাচে অস্তরেব দ্বারে আপন সত্তার বিধিমতো স্বাক্ষরে প্রিয় কামনার উদ্যেগে । কুগ্ডে কুঞ্জে পাঁখীদের সখী, বনে হরিণী ময়ূরী বাঘিনী ৫ বসন্ত সমাগমে শৃঙ্গাঁরের প্রিয় লীলা রঙ্গে নাচে গায় । অনুপম অনুভূতি | কে কুন্থুমের মালা, আধাঁরের কামনায় বক্ষলগ্ন প্রেম! ব্যাধের নিষ্ঠর শর সেই গুপ্ত প্রাসাদের জটিল প্রবেশপথে লক্ষ্য হারায় । ব্রহ্মার বরপুত্র বংশধর শতাব্দীর ঘরে তাই প্রেষপীর ঠিকানা খোঁজে, নির্বাচিত নারী তাই রূপে লান্তে রজোগুণে পায় সমীজ্বীর সন্মান, স্্টির কারণে প্রয়োজনে আদম ইতের কাঁমনাঁবহ্ধি বিশ্ব সংসাঁবে আনন্দের সন্তানের শুভ জন্ম মঙলোকে£যুগে যুগে ঘোঁষণা কৰে। তাই প্রেম কোমল কুহক স্পর্শে ধরণী রক্ত প্রবাহের মাঁঝে তাণ্ডবের যন্ত্রনায় চিরন্তন আনন্দের নিবৃত্তির লোভে দিশাহারা শাশ্বত মায়ার বশ্মি ফেলে করে মৃত্যুগ্জয়ী দেহ রোমস্থন, পড়নে বেদনে গুঢ় আলিঙ্গনে অমৃতের সম্ভীঘণে জাগে স্তরে স্তবে ষ্ঠ খতৃ । পূর্বরাঁগে কামনার বর্ণালী কব চিত্র লেখার নিশানা কুমারী হৃদঘ়ে মোহময় অস্পষ্ট যতিহীন আঁকাজ্ফীর পালকির মতে | কাননে কুস্থম ফোটে মাতৃপ্রেমে গাভীষ্ষেছে অন্তরের দীপের ছায়ীয়, ঘুর জলপ্রপাতের ছন্দে জাগে ব্রগজ্ঞানী মহধির বেদমন্ত্রধবনি, অস্তগামী স্থযের আবরের রঙে প্রেম পারদের সামিয়ানা পাতি! ব্দ্ষাণ্ডের শিরদেশে ঈথবের মহাঁশক্তি কেন্দ্রীভূত পরমাণু তেজ। ত্রিভুবন ভরপুর প্র!ণের কর্মের সংখ্যাতীত ঝঞ্চা কোলাঁহলে, জলবায়ু ধূলিকণ। কীট পতঙ্গ পশু পাখী বিদ্যুতের স্পর্শে দন্য হয় নিয়তির নিবাচিত পদ্ধতিতে অবিরত নির্ধারিত গন্তব্যের মতো । রূপকার রূপ নিয়ে, চিত্রকর চিত্র নিয়ে, গীতকার গ'তের আসরে বেসাতির ফাদ পেতে ্থষ্টির উদ্যোগে কর্মে ধ্যানে মগ্র জ্ঞানে মহীয়াঁন | রুদ্ধ ক্ষুব্ধ মহাকাল ধর্বংসঘজ্জঞে নবতর স্যষ্টির স্চনার সম্ভাবন! আনে, প্রীক্তনের প্রস্থানে শৃণা হষ যথারীতি প্রস্তুত আগামী আসন, অভুদষে ঘোষিত নবীন জন্মতিথি পালনের ক্ষণ বয়ে যায় । কুশলী স্বর্ণকাঁরের হস্তে গলিত স্বর্ণের নানা চমতকার *শদাঁনে কারুকার্ধখচিত অলঙ্কারে স্থদর্শন মূলাবাঁন নিপুণতর স্থষ্টির মহিমা । ইচ্ছাশক্তি তেমনি মানুষেরই হাতে গড়ে ইমারত নগর বন্দর পথ ঘাট, ৯১ স্ষ্টির প্রেরণ! ইচ্ছা সভ্যতাঁর আঁদি কথা, বিস্ময়কর গতিতে প্রগতি, বুদ্ধিমত্ত। ইন্ধনদানে ইচ্ছাকে সতেজ রাখে পরিপূর্ণতাঁর পথপ্রান্তে ; ইচ্ছায় জগত স্থষ্ট, মহত্তম জীবনের অনির্বাণ প্রকাশ গৌরব । ধরিত্রীর সহনশীল বক্ষপটে প্রতি পদক্ষেপে আকা স্থষ্টির স্বাক্ষর, আকর্ষণ বিকর্ষণে গ্রহ তারকাঁর ভিন্ন গতিপথে স্পন্দনের সাঁড়! সমুব্দরে পর্বতে বুক্ষে বনে প্রাস্তরে মরু মালভূমি চন্দ্রহ্যলোকে, জীবনের জীবানুবা সঞ্চাবিত জলে স্থলে অস্তবীক্ষে পরমাত্মা মাঝে আবহমাঁনকালের নিত্য জাগতিক বৈজ্ঞানিক প্রাকৃতিক নিয়ম বন্ধনে, ব্থচক্রসম চলে প্রেম অপ্রেমের ক্ষষ্টি ধ্বংসের জীবন্ত লীলায়। মহাঁসাঁগরের জল বুদ্ধদকণা স্ষ্ট প্রকৃতির কত আয়োজনে, হৃদয়ের কক্ষে তুচ্ছ প্রেমের বিন্দুর স্থষ্টি অনেক অমর কীত্তি রচে। ডিশ্বের কোমল ত্বকে ভণের অস্তিত্বসম কুক্থমের পরা গে সঞ্চয়, জন্মের আভীস জাগে কোটি কোটি গর্ভে প্রতি মুহুতের ব্যস্ত অবসবে। পাখীর প্রভাতী গানে, মধ্যাহ্নের খরতর রৌদ্রের ছায়ায় সরোবরে শ্যাওলার তপ্ত বুকে, বৈকীলী তালবৃক্ষখিরে কচি পাতীয় শাখায় তিলে তিলে স্বপ্ন রচে মারার কাঁজলে আ্ৰাকা প্রাণের ফসল । শব্দ স্ব কথ। হাঁসি হৃদয়ের 'প্রবৃত্তিব প্রতিধ্বনি । নিদ্রা জাগরণ পঞ্চভৃতের মায়া স্যষ্টির কৌশলে আনে বিছ্যাতের প্রয়োজনে বেগ, যোঁগে বিয়ৌগে ভাঁজ গুণিতক অনন্ত সখ্য] সঠিক নির্বরণে স্ুষ্টির অবিচ্ছেদ্য অন্থকরণীয় গ্রন্থণপদ্ধতি নিভূ ল চিরস্তন | ৭ সমন্বয় সকাঁলবেলায় মোরগ ডাকার সঙ্কেতে ঘুম ভাঙে কচি লাউয্বের ডগাঁর মতো? যুবতী চাঁধী বউয়ের) ঘাটের পথে শেষ রাতের হাঁওয়।য় ঝর! নাগকেশরেব পীপড়িগুলোঁকে ছন্দময় পায়ে দলে শ্যাওলা কচুরিপানার গাঁয়ে ঢেউয়ের দোৌল। দিয়ে মাটির কলসী ভরে.জল তুলে আনে চাষী বউ। লাল কালে মিশিত বঙের সমন্বয়ে স্থদর্শন বক্রশৃ্গ বলিষ্ঠ বলদের জোড়া নিয়ে সুঠাম দেহী চাষী লাঙ্গল কাপে রাঁডা মাটির পথ বেয়ে যখন চলে, অভ্যুদয়ের বিচ্ছুরিত আঁলোকোচ্ছাঁস তখন রাঙিয়ে তোলে তার চোখ মুখ, বাহুর সবল পেশী, আর সবুজ মাঠের নবজত দৃব। ঘাঁসের বুক । চাঁধী বৌয়ের নাকে রপোর নোলক, পায়ে মল, আষাট়ের নীল মেঘের মতো শ্টামল ঘন গাঁয়ের বঙ, খোঁপায় গৌঁজা গন্ধরাজ রক্তজবার পুষ্প আভরণ । স্থঠাঁম কোমরের ভাজে রাখা মাটির শীতল কলসীটা কাকনভূষিত বলিষ্ঠ হাতে আকড়ে নিয়ে যখন সিক্ত বসনে সেই কল্যাণী সেই কচি সকালে ঘনে ফেরে নারীত্বের গোপন ম্যাঁদাটুকু কোনমতে বজায় রেখে তখন গোয়াল ঘরে নিরীহ দৃষ্টিতে ফ্যাঁলফাশল করে তাকয়ে থাকে আব-শোয়া জীবর-কাঁট? সাদা গাইটার পাঁশে ঈলীড়িয়ে সপ্যোঁজাত অসহায় ধূনর রডের কচি বাছুরট]। ২৮ প্রেম নির্জন নদীর মতো হৃদয়ের অস্তস্তলে নিষলুষ প্রেমের হবিণ উটের গ্রীবার ইশারার আগ্রহে ডেকে নেয় খুব কাঁছে প্রিয়তর ধন; তাই হাঁজাঁর বছরের স্মৃতির সৈনিকেরা পাহাঁরাষ ঘিরে রাখে ইন্দ্রিয়ের কানাগলি থেকে দূর রাঁজপথ, গ্রামা পথগুলি, আক হৃদয়তরু বসস্তের বিলম্ষিত বাঁতীসের শিরশিবে স্বাদে রাতের প্রহরে কাঁপে নিঃশব্দে হিমান্দ্রির শিখরের খাদে, তন্দ্রার ছুবীর নেশীয় মগ্ন কোন কাঁকচক্ষু সরপীর মতো । প্রেমের থরথর শব্দেরা ছুটে আসে ঈগলের ডানার উপরে, আগন্তক ছায়াছবি ভাসে নীল আকাঁশের সতরঞ্চি রঙের আড়ালে গলিত মোমের মারা । বরফের জিপ্ধ আঁঙনাঁদে প্রেমের ছুরস্ত প্রাণ হর্ষে গর্বে নিরিবিলি পা ছড়িয়ে কাদে । জীর্ণ দালানের কোন প্রশস্ত অলিন্দে, নাচঘরে ঝাঁড়লঞনের ধূলোমাঁখা কাঁচের চিমনির কিনারে কিনারে আত্রের মায়াবী পর্দা প্রচীন স্থরাঁর মতো আমেজের অপরূপ প্রেমের ছায়ায় দাঁনা বাধে যুগাস্তের পিঞ্রের ফাঁকে ; মৃত নতকীরা এসে লীলাচ্ছলে সরোবরে নিলজ্জ আবগাহনের তামাসাঁয় কখনও নিমগ্র হয়, এমন সংবাদ লেখা গাছের পাতায় | প্রেম আনে প্রতিহিংসা! | ছুরির শানিত ফলাকা অনায়াসে প্রেমিকার নম্র বক্ষে রক্তের চিহ্ন আঁকে আভ্রাত স্বাদে, তারপর অকস্মাৎ হতাশায় মৃহমান স্বীয় বক্ষে স্ৃতীক্ষ কুপাণ নিষ্টর উদ্যমে বিধে সেই নারীরক্তকণিকাঁর বিল্দু মাঁখে। অশথের মূলদেশে সঞ্চিত বসের মতো! গাঢ় নিধাস অখ্দিম প্রেমের ধরা প্রভাতের শিশিরের মতোই উজ্জল, ২৯ নৃত্যরতা৷ ময়ূরীর প্রসারিত চীহনির মীয়াঁয় ছড়ানো বনানীর শ্যামলিমা আকাশের উদারতা প্রান্তরের অফুরন্ত গাঁন। ঘুমেয় নিবিড় গ্রস্থি প্রেমের কোমল স্বপ্ন মাখন প্রলেপে জিপ্ধতায় মুগ্ধতায় কামনার ছায়া ফেলে সিক্ত হৃদয়ের নেগেটিভে । লঙ্মমান সূর্য তার শিমুলের বঙ ঢালে বৈজ্ঞানিকের মতো! শরীরের হৃদয়ের ত্বকে মাসে রক্তে স্বচ্ছ প্রিসমের মাধ্যমে । চঞ্চল নাবিক যখন সাগরের তরঙ্গের আলিঙ্গনে মত্ত বিপয্ত, দুরগাঁমী জাহাজের ফাঁনেলের ধৌষা! তখন ক্লান্তির বিরতি আনে । নিরুদ্দিষ্ট গন্তব্যের প্রেরণায় উদ্বেগে ছোটে অস্থির বৈমানিক উধ্বশ্বাসে বাতাঁসের গাঁয়ে একে বিমানের সোহাগের উষ্ণতার দাগ । নব দূর্বাদলে কচি মনটুকু মণিদীপ সোনা আলো জালে, অমর প্রেমের জন্ম বেদীন্ভের অভিষেক মন্ত্রের মতে। ঝভু স্থির, দুগ্ধবতী গাভী ন্সেহে সন্তানের ক্ষীণ দেহ লেহনে মুগ্ধ পৰিতৃপ্ত, মৃত শিশু বুকে ধরে মতৃপ্রেম ক্রন্দনে মহিমা ঘোষণ| করে, পিতৃপ্রেম বীরপুত্র উজ্জীবিত করে মহাঁসমর বিজয়ে, হানাহানি হিংসাছন্দ, তবু জাতৃপ্রেম কু আদর্শের যোগ্য নিদর্শন | প্রেম আসে রঙ্গমক্চে নায়কের মত্যে নান! মুখোসে মৃত্তিতে অন্তরের স্তরে স্তরে ছুঃসাহসী তঙ্করের আঘাতের মতো, কখনও বীরের শৌর্ষে স্বর্ণপতাকা অ।ক! বিজয়ের রথে, কু দস্থ্য দাঁনবের নির্দয় লুণ্ঠন লোভে অন্ধ আবেগ প্রস্থত প্রেম ; তবু প্রেম তার স্পষ্ট পদচিহ্ন রাখে প্রতি পদক্ষেপে, ছন্দে ছন্দে কথা কয় গাঁন গায় স্থধাকঠ্ে আসন্ন বসন্ত ধতুতে | পাখীর ডিমের মতো! খড়ের ভিতরে প্রেম উষ্ণতায় জাগে শিশুর ভাষার মতো, দখির বুকের মতো অস্থভৃত প্রজ্ঞার রশ্মিতে ; হারানো স্যের সাথে বারবার ফিরে আসে দুরন্ত অবোধ তৃষ্ণা সমুদ্রের জলোচ্ছাঁসে বলাঁকার শ্বেত বক্ষে। ক্রতগাঁমী আশ্বর ক্ষুরে মহাপৃথিবীর দীর্ঘ সোপানের পরে তাঁর ছায়াসৈনিকেরা ঘ্বারীর ভূমিক! নিয়ে সসম্মান প্রতীক্ষায় অগণিত প্রহর গোনে। ২০ প্রেম আঁসে মিশরের তুরস্কের স্থইডেনের সৌজা৷ পথ ধরে, বীজগণিতের সংখ্য! ভ্রীঘিমার স্তরে স্তরে খোদিত হয়ে। প্রেম আসে সাহারাঁর মকুগ্ভণন পাড়ি দিয়ে হিমালয় দ্বারে, কখনও আর্ব সাঁগর পার হয়ে পৌছোয় মহামানবের বক্ষমাঝে | বিশ্বপ্রেম তুলি দিয়ে অমানিশ মুছে দিয়ে ষোড়শী শশীকলা আঁকে সমগ্র গগন জুড়ে; তখন হয়ত ভীরু মানুষেরা ধীরে ধীবে খোলস বদলায় ৩১ স্মৃতি পিলস্থজের মতো! তোমার স্ন্দর দেহলতটি, শাক্ত প্রদীপের মতো। তোমার সুশ্রী মুখখানি কত বাক্রির আরতি উত্সবে ফুলচন্দন নৈবেছে্ে টুকবে। হয়ে ভেঙ্গে পড়ে, তার হিসেব মেলে নাঁ। কিন্ত তার কত ছবি জমে আমার বুকের খুব কাছে, তবু পৌছোন যায় না সেই অনর্থ ঠাণ্ডা যাঁছুঘবে ৷ রূপকথার দিনগুলি দেবদাঁকু গাছটা অদূরে যে পথের মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের মতো দু ভঙ্গিমায় দাঁড়িয়ে কান পেতে ঝাউবনের নানা খবর শুনছিল, ওখানের বালি কাঁকরের সঙ্গে আমার অনেক দিনের পরিচয় । যখন বাঁশবন থেকে সরু কঞ্চি কেটে এনে তীর ধস্ক তৈরী কৰে অর্জুনের লক্ষ্য ভেদ করতুম স্তোয় বীধা মাটির টিল দিয়ে, তখন চলছে বাত্তিরে দিদ্রিমার কাছে পৌরানিক গল্প শোনার দিন । ধুলোয় খেলতুম মার্বেল ক্রিকেট বল, হাঁড়ুডুর কোট কেটে নিয়েছিলুম চওড়া পথের ওপরেই | হাটবাঁরে পথের মাস্ষষ কেউ কেউ বিরক্ত হত, আবাঁর কেউ কেউ বা ভীড় জমিয়ে খেলা দেখত আঙুলে ঝোলানো রূপালি ইলিশের কথা ভুলে । কত মারপিট করেছি ডাঁনপিটে ছেলেদের দলে ভিড়ে ধুলোর পরে, ওই বালি কাঁকরের পরে দেবদারুর পাত ঝরিয়ে সাঁজিয়েছি কত খেলাঘর । মনে পড়ে, একটি জোছনা রাত । বাতাস ছিল মাতাল, আকাশ ছিল উদভ্রাস্ত, বিছানা ছেড়ে পীচিল ভিডিয়ে পালিষে এলুম পুকুরপাঁড়ের বীশবনের পাশ দিয়ে দেবদাক্ তলায় | মিতিরদের সাদ] গাঁইট1 তখনো! বাঁড়ীর বাইরে পথের ধারে আগাঁছার গন্ধ শুকে বেড়াজ্ছিল, আমাকে দেখে একটিবার মুখ তুলে সে তাকাল, তারপর আপন মনে ছু'পা সরে গেল। আমাকে সে চেনে । আমি উঠলুম গি্বে সাদা পখের ওপর; কাদামাটি-৩ ৩৩ জোছনা ঠিকরে পড়ছে পথের বালি কাকরে, কি সুন্দর বাত! কেমন মিষ্টি হাওয়া ! ভয় নেই, পৃথিবীর সব কাঁলো ষড়যন্ত্র মুছে গেছে। পৌছলুম দেবদার গাছের তলায়; পথের ধুলোয় গাছের পাতাগুলো এলোমেলো ছড়ানো ; আমরাই ছড়িয়েছিলুম সন্ধ্যের আগে, দিনের আলোয় আধার তখনও মিশেছিল । ঝরাপাতারা চোঁখ মেলে তাঁকাল আমার দিকে ; হাঁতে তুলে নিলুম ধূলোমাখ। কয়েকট] পাতা । সহসা ঝাঁউিবনের পাশে পথের বাঁকটা পেছনে রেখে বলাকার মতো! পাঁখন!1 তুলে ধুলোর ঝড় উড়িয়ে ধবধবে সাদা তুলোঁয় মোঁড়া পক্ষীরাঁজ এল । আমার পাশে দীড়াল। আমাঁকে সে ঠিক চিনতে পেরেছে ! অনেক দিনের অনেক কথা মনে ভেসে এল । পথটা সোজা সাদা ছিপছিপে । মনের আঁগল খুলে ছুটল পক্ষীরাজ দেবদারুর নিশানা পিছনে ফেলে । অনেক দুর । ঘোড়ার খুরে পথের ৰুকে ধুলোর ঝড় উঠল । তারপর আর মনে নেই । পুরোনো! দিনের স্থৃতি, অনেক কথা, অনেক স্বপ্ন । আমার শুধু মনে পড়ে আবছ। ছবির মতো! অনেক দেশ, অনেক যুদ্ধ বিগ্রহ, অনেক জয় পরাজয় । ০৪ এখন বৈশাখী আকাঁশে সাঁদা কাঁলো মেঘের! ভাঁসছে বনের ঝোপে কুঞ্জে মায়াঁবী হবিণদের নিত্য খেলার মতো । এখন আমাকে আর বাহুভোরে বেঁধে বেখ না। চেয়ে দেখ, মর! নদীর জলে পরম আশীর্বাদের মতো শ্রোত এসেছে। অপুষ্ট কচুরিপাঁনাঁর বুকে কলি জন্মেছে । এখন আমাকে আর তোমার খুব কাছে ডেক না। জোছনায় জোনাকিদের মিশ্র অভিসাবের আসর বসেছে রেশমী চাদরের মতো ঘন সবুজ খাঁসের জাজি মে এখন আমাকে ক্ষমা কর। মুক্তি দাও। বিদীয় দাও। পলাশের রোগা ডালের হে পড়েছে থোকা থোকা ফুলের ভারে, নিরীহ গাভীর উদাঁস চাহনিতে সরল মায় সঞ্চিত। এখন আঁমার অশান্ত হৃদয় সৌন্দর্য মদ্িরায্ন ভিজিয়ে নিতে দাও । ইস্পাতের উজ্বল্যে ইলিশ মাছের ঝাঁকে ঝাঁকে শ্োতে ভাসছে, দক্ষ ধীবরের ডিডির চারদিকে জালের ফাঁদ ব্যর্থ হয়েছে৷ এখন সমষ়ের নদীতে আমাকে মাছের মতো! ভাসতে দাঁও। স্বর্গের অপ্মরাদের নাচঘরে নেমে এসেছে বিরামের অবসর, দেবদূতেরা বিশ্রামাগাঁরে | দেবতারা অনেকক্ষণ নিজ্রামগ্ন | এখন আমাকে অনায়াসে একটু তন্দ্রীমযন হতে দাও । প্রৌট দর্জির দোৌকাঁনে সেলাই কলের ঘরঘর শর্ঝ মাঝ রাত্তিরে নিরপরাধ প্রতিবেশীদের শাস্তির ঘুম ভাঙায় । এখন তাই আমাকেও নিংশবে জেগে থাকতে দাও । ৩৫ দীঘির শীতল জলে, জান কি, পানকৌড়ি ডুব দিয়েছে, জীবনের মধু থাকে সাগরের গভীরতায় রূপোর ঝিহ্থকের মধ্যে ! এখন আমাঁকে উদ্গ্রীব হৃদয়ে অনস্তকাঁল অপেক্ষা করতে দাও । ফেরারী ঘোড়াট1 পাগলের মতো! এদিকেই ছুটে আঁসছে সীকো! পেরিয়ে খাঁল ডিডিয়ে বেপরোয়া মাতালের মতো ৷ এখন আমাকে থম্কে দাঁড়িয়ে ফের্বারের খবর শুনতে দাঁও। আকাশ থেকে অবাঞ্চিত যে নক্ষত্রট! অচম্কা খসে পড়েছে, ভূগোলের পরিশিষ্টে গণিতের হিসেব থেকে সে বাদ পড়েছে। এখন আমার সেই মামুলি হিসেবের খাতাটা হারিয়ে দাও। নির্জন দুপুরে ধূখু মাঠের মতো! তীত্র তৃষ্ণার জালা নির্দয় ঘাতকের বেকার খড়গখানা যৃপকাষ্টের পাঁশে ছটফট করে এখন আমার সব হিংস্রতা ভুলিয়ে দাও । রক্ত চাই না। রাত্রির গা-ছমছম অন্ধকারে সমাধির মতো নিক্রিত পল্লীপথে দস্থ্যর মশাল বল্পম সবাক বিস্ময়ে নিষ্ঠুরতা ছড়ায় । এখন আমাকে মৃদু ভাবণের মুগ্ধতা স্সিগ্ধতাঁ তুলতে দাও । এতিহাসিক যুদ্ধের দামামা শি! সৈন্যবাহিনীকে জাগিষেছে, পদ্দাতিক অশ্বারোহী নাবিক বৈমানিকেরা রীতিমত চঞ্চল । এখন আমার রক্তে ভ্রুত সঞ্চারণ । হৃদয় স্পন্দিত | গোধূলির ধূলিপথে বাখালেরা গাঁভীদের সাথে ঘরে ফেরে, গৃহের প্রাঙ্গনে টিমটিমে সান্ধ্য প্রদীপ জলে । শুভ শঙ্খরব | এখন আমাঁকে মঙ্গল আঁরতিতে মগ্ন হতে দাও । বীধানে৷ ঘাটের পাঁশে জঙ্গলের মাঝখানে জীর্ণ মন্দিরে পুরোহিতের মস্ত্রপাঁঠ বন্ধ হল। স্তব্ধ হল কাঁসর ঘণ্টা ।, এখন আমাকে সমাহিত সন্ধার মতো] ধ্যানে বসতে দাও । ৩৬ অত্যাচারের কারায় বদ্ধ যুদ্ধবন্দীদের মুহু কথোপকথন, প্রহবীদের ভ€সনা, তেলের প্রদীপের থরথর শিখা এখন আমাকে নিশ্চয়ই অনুধাবন করতে হবে। অলস অজগরের বিপুল দেহের ভারে ক্লান্ত পৃথিবীর ধূর্ত পেচকেরা রাত জাগে কাঠন শপথে। এখন আমাকে সজাগ থাকতে দাঁও। সান্তনা প্রীতি চাঁই না। হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে অঙ্জাঁন রোগিনী অতীতের পাঁপের পরিমাণ তো মাঁপতে পাঁবে না! এখন আমাকে তাঁর কুত কর্মের কৈফিয়ত তলব করতে হবে । আদিম যুগ থেকে এটেল মাটির তলায় যত কুৎসিত কঙ্কাল জমেছে, 'তার্দের তৃষিত আত্মারা আজও বায়ুস্তরে কিলবিল করে । এখন আমার জন্তে সেখানে তিলমশত্র স্থান সংগ্রহ করতে দাঁও। এখন আমি বড়ই ব্যস্ত । নদীর মতে! অন্তমনক্ক | বিব্রত । এখন তোমার ছুই বাহুর মোহময় ডোর থেকে আমাকে মুক্তি দাও । এখন নিধিকারচিত্তে তোমি।র স্মৃতিকে হতা1 করে কতার্থ হতে দাও । ৩৭ দেখা অদেখা আমি সমুব্র দেখি নি, ঢেউ দেখেছি । আমি পৃথিবী দেখিনি, মাঁটি দেখেছি । আমি জীবন দেখে নি, মাক্ষষ দেখেছি । আমি ত্বর্গ দেখি নি, ঈশ্বরকে দেখেছি । ২৩৮৮ রাত্রির বয়স রাক্বির শেষ ট্রেন হুইসল দিয়ে গেল চলে ইস্পীত লাইনে বীধা সি'ড়িটাকে পায়ে পায়ে দলে, বন্দু বিন্দু শব্ধকে বাতাসের পর্দায় রেখে, চোখের সবুজ ছায়া লাল রঙে ঢেকে । ভধ্বশ্বাসে ব্রিজটা ও পার হয়ে যায়, বেগবান অশ্বের খুব থেকে স্ফুলিজ ছড়ায়; গাঁছপাঁলা পথ ঘাট মাঠ। ছায়াছবি । অন্ধকাঁর গহ্বর গ্রাস করে সবই | রাত্রির শেষ ট্রেন শেষ হুইসলে ছুর্স্ত গতিতে গেল বলে রাত্রির বয়স। সে আসে নি। আসবে না। ক্রাস্ত। বিব্শ । আব কোন ট্রেন নেই | ভোর হয়ে এল । শেষ ট্রেন, তাঁও চলে গেল! ২১০১ স্র্যমুখী নতুন বউ। রঙ-করা দেয়ালের গায়ে সৌনালি ফ্রেমে বাঁধাঁনে। তুলির আঁচড়ে ফুটস্ত মোলায়েম ছবির মতো । ঢাকাই শাড়ীর খসখসানি, চুড়ি হারের টুং টা শবে জীবন্ত তরল নদী । নতুন বউ। কচি পু'ইয্ের ডগাঁর মতো বাড়ন্ত, কপালে তার টকটকে লাল সিছুবের টিপ, সিথি-ভরা সিদৃরের সরু রেখাঁটি। বাসস্তী বিকেলে জানালার ধারে আয়নায় যখন সে মুখ দেখে খোঁপায় গৌঁজে ফুল, বসস্তের হাওয়1! তখন এসে ভাকে অফুরস্ত নান করায় নিরিবিলি ঝরণাঁয়। ছাঁদের টবে যখন ফোটে বেল যুই দোপাটারা, আর নীল সামেয়ানা আকাশকে দেখায় নক্ষত্রে আকাঁজোকা?, তথন সহস] তার মনে পড়ে প্রবাসী স্বামীর কথা ; নবনীর মতো কোমল মেরুদণ্ড রোমাঞ্চে শিরশিবিয়ে ওঠে । কে জম! বাঁসররাঁতের কথার মিছিল কিলবিল করে ট্রাঙ্কের তলায় রাখ! নীল চিঠির গোঁছার মতো । তার উজ্জল টলমলে দৃষ্টিতে ছুঃখের রান ছাঁয়। পড়ে না, শাস্তি সাগরের যত্ব-লালিত একটি মুক্তোর দানা নতুন বউ। বাগান আঁলো-করা! সছঃপ্রস্ফুটিত একটি তুযমুখী | যুগে যুগে কোঁন এক প্রশান্ত বাঁতে সমুদ্রের নির্জন তটে কুড়িয়ে পেয়েছি আমি সহসা মুক্তার মতো! সমুদ্রকন্তাকে। সে যে তুমি! উজ্জল কাজল চোখ কৃষ্ণ চুল রাঙা টিপ কুমকুমে রূপসী তুমি সেই কন্যা, যাঁকে বন্ ফুলে ধৃপগন্ধে বেদের উদীত্ত শ্লৌকে বরণ করেছি রাত্রির নিটোল নিজ্রায়। তোমীকে দেখেছি আমি সহস্র বছর ধরে পৃথিবীর পথে, অবস্তী নগরে, কোণারকে অজজ্তায়, কভু উজ্জ্ষিনী তীরে, অস্ফুট সরমে শ্রথ পদে পথ চলেছিলে যেন আনমনে গোক্ষুর ধুলোর মতো আবাধারের পায়ে পায়ে জোনাকির স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়ে। বিছ্যুতৎবরণা, তব আঁঙ্ব চিবুক কাপে তিমিরাভিসারে । আকাশের তলে বসে নরম মনের রঙে ভিজে তুলিতে সবুজ ঘাঁসের পরে ধাঁনের শীষের মতো আলপনা দিয়ে মৌস্থ্মী বাতাসে লিখি তোমার আদিম ইতিহাস, স্বরেছন্দে লীলাঁয়িত শুদ্ধতম গীতা । সৌম্য শাস্ত বনানীর শ্যামল মিনারে, আমি দেখি, প্রসারিত কমণীয় তোঁমাঁর স্থগোঁল বাহু, করযুগলে দ্রৌপদীর মাঁলা নিয়ে অর্জুনের পথ চেয়ে তোমার অনন্ত কাঁল কাটে, চপল মুমূর্ষু হিয়া তুলোবি মতন কোমল বক্ষে কম্পমান ! তপস্্বিনী শর্ববীর প্রতীক্ষীয় ক্লান্তি কষ্ট সহজে হাঁরাষি, রক্তিম অধরে শুধু আকা থাঁকে দীর্ঘ শতাব্দীর হিম বেদনার লিপি । হেমন্তের নিঃসঙ্গ প্রশস্ত দুপুরে আমি দেখি, জাঁফরানী স্থধের মু আলিম্পনে গলে যাও শুভ্র মোমের মতন অনবছ্য কমনীয় পের আগুনে । উজ্জল তব চোখ ৪১ মুক্তা প্রবাল পান্না হীরকের মতো $ সুস্থ -কমলা রোদ্দ,রে সমুদ্রের কাঁপা কণ্ঠে কথা কও তুলতুলে মোহময় স্বরে । শিশিরে বাঁশবনে চুপিচুপি শঙ্খচিল যেমন লুকাঁয়, শুভ্র স্কীতবক্ষে তব দুকুদুরু জাগে বুঝি তেমনি সংশয় । সি'থির সীমস্তে তব শিমুলের রঙ, বাজে শিথিল কিন্কিনী, দোলে প্রথ চুর্ণালক, রজত বলয়গুচ্ছ, রক্ত টিপ ভালে, কিংশুকের লোপুপ লাবণ্যের ছায়াপাত মুখপদ্মে তব, স্থগন্ধ অঙ্গ ঘিরে বয়ে চলে যৌবনের পরিপূর্ণ নদী । তব স্বপ্ত কামনার প্রাণের প্রীপে দেখি উদ্ধার জলঙ্জলে শিখা, শাম্ততর ন্সিপ্ধতর জ্যোত্সার প্রবাহের মতো থরথব। প্রত্যহছের ভাষা নেই তোমার রক্তিম ওষ্টাঁধবে । কাঁকডাকা দুপুরের আকাশের শূণ্যতাঁর মতো! তোমার শরীরে কোন ক্ষুধা নেই, হিংসা নেই, নেই হিংল্তা | তুষারের পিরীমিডে নিমগ্র.হৃদয়ে আমি দেখি তোমাকে, নির্জন সৈকতে দ্বীপে মরুতে পরতে, অম্বতের অন্বেষণে তীর্থপথে, কখনও বা মঠে মন্দিরে | তব স্বপ্র দেখি আমি ঝর্ণা বর্ষায়, পিয়াল গাছের ভিজে শাখায় পাতীয়। নিভৃত 'প্রাসাঁদে তব স্থসঙ্জিত মেহগনি পারস্য আসবাব, রামধন্থ গবাক্ষে মযুর পেখম প্দী, কক্ষীস্তরে বাতি, প্রাসাদের দিকে দিকে প্রহরীর মতো! শত স্বর্ণ মিনার, প্রমোদ কাননে নৃত্যগীতময় ছুরাঁর ফোয়ারা । প্রাসাদের মিনারের সর্বোচ্চ চূড়ায় দাড়িয়ে সযতনে পায়রার পালকে বাধো প্রেমপত্রথানা, প্রিয়ের বার্তার জন্য কাতর উদ্বেগ ৷ দ্রাবিড় প্রস্তর যুগে তোমার অভিনব কাহিনী শুনেছি বিস্বৃত অনেক শ্রাবণ ফান্ধনের বহম্যম্য় রাতে, ৪২ নীড়হাবা রাতজাগা পাঁখীদের আধো আধো! কথায় কথায় আকাশের মহাশৃন্তে, দিগন্তের নীলিমার ঈথরে ঈথবে। বৈশাখের মধ্যান্ের প্রখর প্রহরে রোদ্দ,রে ভ্রুতবেগে রুষ্ম পথে গেরুয়া ধুলোর ঝড় উড়িয়ে 'এসে গাছের পাতায় ফুলে ফলে আকেো সবুজ পতাকা | পথপাঁশে ভুট্টার ফলম্ত ক্ষেতের বুকে, প্রাণ সঞ্চার, কুমড়োর ভঙ্গুর মাচাঁর মিছিলে জাগে ফসল উৎসব, কলাঁই মুগের ক্ষেতে ছুর্বা ঘাস আগাছ'র ভিড়ে কানাকাঁনি বাঁশের শীর্ষে বাধা কুৎসিত বীভৎস কালে! কাঁলো হাঁড়ি উর্বর ধাঁনের ক্ষেতে বরাতে কিংবা দিনে নাছোড়বান্দা লোভী পাশীদের ভয় দেখাতে; সেখানেও ঝোড়ো হাওয়া তোমার খবর বলে যায়। হলুদ €রাঁদ্দ'রে আর আকাশের নীলে তুমি আসো উত্তাঁল সাঁগর থেকে দুর্বার গতিতে মেঘরথে | তব কুষ্ণ নয়নের ম্রুগ্ভানে আমর তৃষ্তজার সমাধি, তব পদপ্রাস্তে স্তব্ধ আমার ক্লাস্ত পদধবনি । তুমি সেই পুত নারী, নিভৃত হৃদয়ে যাঁর জন্মে দেখেছি, প্রতিপদ তিথিসিক্ত শিশু চীদ প্রণয়ের উদ্জ অন্করাগে, প্রত্যছের উষা লগ্রে সহম্্র বছর ধরে জন্ম লাভ কবে অগম্য প্রেমের স্বর্গে তেমনি যত আগন্তক অমব সস্তাঁন । ৪৩ আশ্চর্য রাত সেই আশ্চর্য রাতে তোমায় প্রথম দেখলাম । তোমার যাঁছুস্পর্শে লক্ষ্মীন্দবের প্রাণহীন নিস্পন্দ দেহে নিশ্য়ই প্রাণের সঞ্চার হতে পাঁরত ! নবীনা কিশোরীর মুছু মাধুর্ষের অস্থপম ছায়ায় গবিতা, তুমি প্রেমিক।। আর এক আশ্চষ রাতে তোমীকে আমার হাতের মুঠোয় পেলাম । নিতান্ত নিফলঙ্ক ক্সিপ্ধ জোছনায় তুমি স্বেচ্ছায় বন্দিনী যুবতী রূপের মত্ত বন্দনায় আনন্দের পাঁখনা মেলে তোমাঁর যৌবনের জোয়ার প্লাবনে ভাসলাম। কিন্তু হায়, ক্ষণিকের স্পর্শে ভাঙে মাটির প্রতিম! ; যৌবন ব্যর্থ, মূল্যহীন দেহ, শ্রান্ত অন্তর | তুমি পাষাণ প্রতিমা । আবও এক আঁশ্ষ নাতে একান্ত নিবিড়ভাবে বক্ষলগ্ন।, তুমি প্রেয়সী অবাক মুহূর্তে কোন আশ্চষ অনন্যা প্লৌঢা বৈকালী জীবনপ্রান্তে কলানী অন্য এক নারী আমার সৌম্য প্রাণে আনন্দের দামামা বাঁজালে, শুদ্ধ ধূপের গন্ধে মঙ্গল প্রদীপ জেলে অনাদি মুক্তির মন্ত্রে উজ্জীবিত করলে আমাকে, অসামান্য! তুমি মহিয়সী 1 তুমি প্রৌঢা প্রেয়সী | 9৪ জল পড়ে জল পড়ে । আমি জলের শব্দ শুনি | ঝর্ণার জলের ঝিরবির শব্দ | নদীর জলের কুলকুল শব্দ ৷ বর্ষায় ম্জী পুকুর উপচে নালায় ঢেলে পড়া জলেব সড়লড় শব্দ । টিনের চালে বর্ষার জলের ঝুপঝাপ ঝনঝন শব্দ | বন্তার অবাধ্য শোতে সব্গ্রাসী সোসৌ শব্ধ ৷ জলের অদ্ভুত ঝপঝপ শব্দ ঘোড়ার ক্ষুরে জাগে যখন সে ধীরে ধীরে কোন খরক্সোতা পাহাড়ী নদী পার হয় গাছের পাতা থেকে শিশিবের ফোটার মতো চোঁখের জলও তিলে তিলে ঝড়ে পড়ে তবু আমি অনেক চেষ্টা করেও তার শব্দ শুনতে পাই না। ৪৫. মাকডসা। মাঁকড়সাঁর অবিবীম জালের বিস্তাঁর, বাঁধে সে জীলেবর জটে এ বিশ্ব সংসঁর ; প্রেম মায়! সহ দয়া মমতা বন্ধনে দিনগত ক্ষয় বুদ্ধি হর্ষে ক্রন্দনে মুষ্টিগত স্বার্থপর কামনার ধন, ক্রমাঁগত্ত বন্দী প্রিয়জন | নদী তাঁর গতিপথে যাহা পীয় ধুকে নিজে যায়, নারীর মতন স্বপ্প প্রসারিত কাঁণায় কাণাষ, ০প্রেমে পরিণয়ে মাতিন্সেছে প্রাণ কাদে, সাবের পথে পথে মাষ্াগ্রন্থি বাধে । নারী মাকড়সার তিলে তিলে ধের্ধ ধনে গ্রন্থির সংখ্যা বুদ্ধি করে । ক্থদীর্থ জট্টিল জালে মহামুল্য সম্পদ নিস্ষে নিজেই আবদ্ধ! তবু তিলমাত্র দেয় না বিলিক়ে 5৩ ফসল ধাঁন কাট! হযে গেছে! পড়ে আছে বিস্তীর্ণ মঠের বুকে গোছ। গোছা খরকুটে শবের মতন । শুক ফাটলের মুখে শৃণ্যতার হাহাঁকারে দিকে দিকে জেগে উঠে করুণ ক্রন্দন শীতের কুয়াশাভরা সকালে সন্ধ্যায় তোলে বিচিত্র ব্ণন । ঘ1সফড়িঙেরা নেচে চলে মাঠে আলেব কিনারে, প্রজাপতি নিঃশব্দ পাখা মেলে আগাছাঁর ধারে, সাস্বনার মতো ভগ্র হৃদয়ের পটে তাবা পাঁতে আস্তানা ; কাট ফসলের শেষ এলোমেলো পড়ে আছে হু-চাবরটি দানা দরিদ্র চাষীর ঘরে সোনার ফসল বরপুতজ্রের মতো আদরের ধন। শুভ নবান্রের উৎসবে ব্যস্ত কর্মরত রমণী মাটির ঘরে দেয়ালে দাওয়া আকে আলপনা রেখা, লক্ষ্মীর পায়ের ছাপে মুছে দেয় বর্ষের ছুঃখের লেখা । ঢে'কিঘরে ধানভানা, চিড়ে মুড়ি পিঠে আনে পৌষ মর্ম, এখন সকলে ব্যস্ত, ধান ওঠে গোলাঘবে, লেগে গেছে ধুম ! ৪9৭ একটি হৃদয় রাজার প্রাসাদ, ধন মাঁন, মণি মুক্ত] রত্বু, বিশ্বযুদ্ধ জয় আমার মুঠিতে । তবু পাঁরি নি কিনতে আমি একটি হৃদয় | হৃদমু, ফন্তনদী, বনহরিণী ; হীরকের বাতি জ্বেলে তাই তাঁকে চিনতে পাবি নি। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ এশ্বষের বিনিময় কিনতে পাঁরে না কোঁন অমূল্য হৃদয় । আমার শক্তির দম্ভ আজ পরাজিত পরিমেয়, একটি হৃদঘ্ব তাই বয়ে গেল শাশ্বত অজেয় । 9৮৮ হারিয়ে যাব হারিয়ে বাব মেঘের মতে! নীল আকাশের গাক্ে ; ফেরারী পাখীর পায়ে বাসনার স্থতো বীধব নিছক খেলার ছলে, ঝোড়ে হাওয়ায় নামব স্দূর সাগবু জলে, পরদেশী পাঁলতোঁলা কোঁন নৌকো হয়ে উজান স্রোতে নিরুদ্দেশে যাব বঙ্ে দূরে দূরাস্তরে ; হারিয়ে যাওয়ার আমস্ণের মন্ত্র আম.র ব্যাকুল অজ্তরে হারিয়ে যাব পাহাড় মরু জঙ্গলের পথে, হারিষে যাঁব দিশেহাঁর! পখগলা ঘোড়ার রথে, ফুরিয়ে যাওয়া পথের শেষে, বাত্রি সেথায় নামি পরম ন্সেছে হাত বাড়িয়ে কোলে তুলে নিয়ে চু্ধনে দেয় কপোল বাড়িয়ে । হারিয়ে যাব ঠাদের বুকের কৃষ্ণ কলঙ্কেতে তারার ভিড়ে আগস্তধকের মতন যেতে যেতে, হারিয়ে যাব দিনের আলোয় স্থযদহনে, হারিক্পে যাব হয়ত তোমার মনে | কাদাম।টি-৪ ৪৯ বাসিন্দা আমার আন্তান| তাদের তলায়, উপর থেকে যাঁদের চোখ পড়ে না সেখানে । প্রাসাদতুল্য অদ্রালিকাঁর সারির পেছনে একফালি বস্তি । টাঁলির চাঁলের ঘরের বাশের বেড়ার পাশ দিয়ে নোংরা সংকীর্ণ ধিপ্ি গলিটুকু অতিক্রম করে রাস্তার যে চৌমাথাঁয় গিষে পৌছানো যায়, সেখানে মিঠে পানের খিলি মেলে ছুই পয়সায়, কড়া তামাকের বিখ্যাত “পদ্ম” মার্ক বিড়ির বাগ্ডিলের চাহিদাও বিষ পানওয়াঁলার রেডিও-সরগরম দোকানে । গোবিন্দ ময়রার কচুরি নিমকি পাঁচ পয়সায় পাই, অথবা নিত্যহরির মুদি দোঁকানের মুড়ি মুড়কির সঙ্গে “কাঁলীমাতা। কেবিনে”র ভবল হাফ চাঁষের কাঁপে আমি অভ্যস্ত | ওই মোড়টাই আমাদের পাড়ার সদর। শহরের নমুনা । ওখাঁন থেকে সোঁজা ডাঁন দিকে হাঁটতে শুরু করলে প্রথমেই পড়বে "চীনে" বসতি । তারপর খুষ্টান” পাড়া । তাঁর পেছনে পুরনো শহরের বাঙ্গালী বাসিন্দাদের জীণ দালান । ছু'বেলা ছেলে পড়িয়ে অর ধৈধসহকাঁরে হোমিওপ্যাথি পড়ে আমার জীবনের ক্ষয়িফণ মুহর্তেরা উধাও হয় | মাসের শেষে প্রতিবেশী নন্দ মিন্্রীর কাছে হাত পাততে হয় দরকারমীফিক বিনা স্থদে ছু-একটণ টশকার জন্তে । সময় কবে কৃত্রিম হেসে ছুটে বাড়তি বাজে কথা কখনো! বা বলতে হয় তাঁর দরজায় দাঁড়িয়ে; অর্থাৎ মেকী মুদ্রার মতো! ভদ্দর ছাপের মিথ্যে মধাদা ভাঁডাতে হয় । সকালে নিত্য ঘুম ভাঙে পেছনে খোলার বাড়ির ছয় ভাড়াটের বাঁড়িওয়াল। শিবু মোক্তীরের আছুরে কন্যার নির্মম সংগীত মার্গে দুঃসহ দুর্বার কণ্ঠ পীড়নে, কখনো বা প্রৌট হরিচরণ গৌসাইয়ের শুকসারি ভজনে । নির্জন দুপুরে সংকীর্ণ গলির বুকে শুনিতে পাই দুষ্ট ছেলেদের মার্বেল বা হাঁড়ুড়ু খেলার ছুবস্ত উল্লীস, অথবা বাসনওয়াঁলাঁর হাতের বাঁসনের কর্কশ ঠনঠনানি। ময়দানের অক্সিজেন বিন! খবরচায় গ্রাস করে বাঁত্তিরে যখন পদব্রজে বস্তিতে ফিরি, আমার প্রাঁয় সব প্রতিবেশীরা তথন ঘুমে নিঃঝুম | ওর! ফিরেছে কেউ বা রিক্সা টেনে, কেউ বা ঠেলাগাড়ি, কেউ বা কল থেকে, কেউ বা দালালি করে। শুধু জাগে হাতুড়িতে টু: টাঁৎ শব্দ তুলে গদ1 কর্মকাঁর , শীতে গ্রীন্মে বর্ষায় লোহা পিটে সে রাঁতি করে কাবার । আমার আস্তানায় আঁমি এক । বাঁশের বেডার গায়ে ঝোলানে। পৃবের জানালার ওপরে আমার স্ত্রীর ধূলে। জম| ফটোখান অনেক দিন্রে শুকনে। বকুলের মালায় জড়ানো । গভীর বাঁত্তিবে অন্ধকার ঘরে ঢুকে যদি গা ছমছম কবে, জাঁনাঁলার শীণ গরাদ ছু"ছাঁতে প্রাণপণে আঁকড়ে ধরে তাঁকিষে থাকি নোংরা সংকীর্ণ ঘিঞ্রি গলিটাবর দিকে । এই তুচ্ছ জীবনের অর্থ খুজি রাতের কাছে । গভীব বাত্তিবের তরল অন্ধকাঁরে কানের পর্দায় এসে শুধু নির্মম হাতিড়ি পেটে নিষ্টর গদ! কর্মকার ; সে আমার গভীর বাঁতের অনভিপ্রেত নিত্য সঙ্গী | আমাকে বারবার সে মনে করিয়ে দেয়, আমর! সকলে এখনও বেঁচে আছি। ৫১ ডাক রান্তিরের সমুব্দরের বাতাঁসের স্বাদ মোঁছে গাঢ় অন্ধকার; লোনা জলে সাদা ফেনা ঝিহ্ছকেরা ভিজে গন্ধে আসে আনিবার তটেব বালুর পরে । বসে থাঁকি আনমনে অলস প্রহরে দিনাস্তে অন্ধকার সমুদ্রের ভাক শুনে স্তব্ধ অবসরে । অন্ধকারে সমুব্র সরব মুখর ধুধূ প্রস্তবের গানে, মুহূর্তের বেগবান অস্থের মতো ছোটে তাহার পাঁনে । সর্বগ্রাসী হাতছানি সমুক্দরের আর বাতীসেতে ডাকে আঁমাঁকে, তাহার কাঁছে ক্রমে যেন টেনে নিতে থাকে । ৫. শাশ্বত বুষ্টি ধোঁয়া আকাশের গায়ে আকা এক ফাঁলি চাদ দূব করে দীর্ঘ অব্সাদ; জৌনাঁকিরা জলে! বিলে লম্বা ঘাসের ফাকে ফাঁকে ঝিকিমিকি রাত জেগে থাকে । বিলের গভীর জলে হোঁগলা বনের ভাজে ভাঁজে জলো সাপ মাছরাঙা কচ্ছপ ফড়িং মশাঁরা যেন সাজে অনর্থক রাত জেগে মৌন্ুমী বাতাসে প্রগল্ভ উল্লাসে । অনূরে বটের শাঁখে দুর্গম কোটবে ছোট ছোট পাখীদের গানের আসর মৃছু স্বরে, খড়কুটে। ঢাঁকা ভিম থেকে স্যঃফোটা শাবকের চোখের মণিতে প্রতি পৃণিমায় শত চন্দ্র 9ঠা। চাদের পেয়ালা থেকে ফেনিল জোছনা উপচে পড়ে, যেখানেতে বাঁশবনে সরু সরু লম্বা পাতা হাওয়ার কাঁপনে নড়ে চড়ে, শিরশির শব্দে অন্তর কীপাঁষ শিহরণে স্বপ্নের মাদকতা বুকে নিয়ে স্তৰ জাগরণে । পলাতক শৃগালের! ভীতু শজারুরা কু লুকোচুরি খেলে জঙ্গলে জোছনার ফাকে নিরাপদ নিঃশ্বাস ফেলে । পাশীদের সংসারের আশেপাশে অগোছালো ছড়ানো কত কিছু যে কি! হলদে পেঁপের খোসা কামরাডা নারকেলের শুকনো মালায়, দেখি, ঠেঁটি থেকে খসে পড়া পাঁকা পেয়ারার টুকরো গড়াগড়ি যায়; পিপড়ের! সেখানেতে ভোজনের আসর জমায় । বিলের ওপারে গ্রামে জলে ছোঁট ছোট দীপশিখা । অন্ধকার কালো শ্লেটে সাদা খড়িমাটি দিয়ে যেন লিখ €৩ রাত্রির শতেক নাম। দূরে বাঁজে হয়ত বাঁশের বাঁশী মলয় বাতাঁসে তার ক্ষীণ স্থর আসিতেছে ভাসি প্রতীক্ষিত নির্জন কোন প্রাণে অবসর সঙ্গীতের মতো! সংহত, সংযত। আবছা আলোয় পাঁয়ে চলা সরু পথ আঁকাবাঁকা, বৃষ্টিভেজা বাঁলি কাঁকরেরা সেথ| কাঁদামাটি ঢাকা, ছুপাঁশে সবুজ ঘাঁসে বিন্দু বিন্দু জল জোঁছনাঁয় করে টলমল | কুঁড়ে ঘরে বাতি জেলে প্রসাধনে মগ্ন কোন নারী আপনাকে নিয়ে ব্যস্ত ভারি পাতা কেটে চুল বেঁধে খোঁপায় গুজেছে লাল শিমুলের ফুল কানের ছুপাঁশে অলকদামের মতন ছুলে এলোমেলো কোঁকড়ানো চুল বড় জ্বালাতন করে যখন তথন । অবুজ অশান্ত ক্ষুদ্র মন ূ আনমনা হয়ে যায় বাঁশের বাশীর সুরে আবণের রাতে কে জানে, কি আছে বরাতে ! বাশুরিয়া বসে থাঁকে ছিপ ফেলে বিলের জলে, শিঙি কই মাগুরেরা ঝপঝপ শব্দ কু তোলে লতানে ঝোপের সাথে খেলে; ব্ড়শিতে টোঁপ নাহি গেলে। কিন্ত বাঁশীর তীক্ষ বড়শি বিধেছে সেই দুরুদুরু বুক, শরের তিক ফলাকাঁয় দুঃখ স্থথ হয় একাকার, প্রাণের সহত্র কক্ষে খোলে যত ছিল রুদ্ধ দ্বার। এমনি কত যে জোছন। বাতি বহে যাঁয়, কত বাঁশী কত স্বর কত অন্থভব যন্ত্রণাঁয় পাস্থা ভাতে কাঁচ] লঙ্কা খেয়ে, কাথা গান, শশড়ির আঁচল পেতে বাত কাটে ঘরের দাঁওয়ায় | ৫9 এমনি অনেক বাত বারবার আহক জীবন ! সংসারের নেই প্রয়োজন, জোছনা আছে, ক্র আছেঃ আছে যকস্ত্রনা, ক্ষু্দ প্রাণ ভরপুর, নেই বঞ্চনা । দূর থেকে বৃষ্টি ধোয়া! জোছনার মতো মনের আকাশে এমনি জন্ম নিক প্রেম শাশ্খত । ৫৫ মুখ ঢেকে দাও সাদ কাপড়ে ম্বতের মুখ ঢেকে দাও । সব ম্বতের মুখের চেহারায় অন্য এক রূপ ফুটে ওঠে । ঠোঁটের কোণের ম্বু হাঁসিটুকুর বেশ বড়ই বিচিত্র । পাথরের চোখ কখনও মুদিত । পাংশু বর্ণ ললাটে ক্লাস্তির পীতাঁভ রেখা মুছে যায়, এলোমেলো চুলগুলো! বাতাসে ওড়ে । সারদা কাপড়ে মতের মুখ ঢেকে দাও । মতের মুখের চেহারা আমাদের মতো আর থাকে না, সেখানে কুখ ছুঃখ ক্লান্তি যস্্রনাঁর ছায়া] নেই, পরম শাম্তির মতো! অনস্ত নিদ্রার শযাঁর ওপর দেনা পাঁওনার পাশাঁখেলাব নিয়ম নেই, সুতরাং তাঁকে নিশ্চিন্তে ঘুমোতে দাও । সাদা কাপড়ে ম্বতের মুখ ঢেকে দাও । ৫৬ সেখানে যেখানে মান্থষের মুখে গোলাপের উদ্যানের ছায়া নেই, যেখানে ০জানাঁকি প্রজাপতিদের পা বাঁখবার স্থান নেই, সেখানে আমাঁকে তুমি ডেকো না । যে আকাঁশে মেঘেদের সঙ্গে পাখীরা চবে বেড়ায় না, যে সাগরে প্রতি রাত্রে মাছদের বিবাঁছের আসব বসে না, সেখানে আমাকে তুমি ডেকো না । যেখানে পাথরের দেয়ালে কঠিন কারাগার গড়া হয়েছে, যেখানে লৌহদপণ্ড দিয়ে মজবুত পির তৈরী হয়েছে, সেখানে আমাঁকে তুমি ডেকো না । যেখাঁনে স্ক্ম আত্মারা ঈথরে নিধিদ্ধে বিচরণ করতে পারে না, যেখানে প্রেম মৃত্যুব আশঙ্কীয় পা ছড়িয়ে বসে কাদে, সেখানে আমাকে তুমি ডেকে। না। যেখাঁনে মন্তিষ শুধু বিষয়ের আসক্তিতে আয্মাহিতি দেয়, যেখানে মানুষ শুধু পাঁধিব কামনা বাঁসনান্ন মৃত্যু ডেকে "মানে, সেখানে আমাকে তুমি ডেকো না । যেখাঁনে গাঁছে গাছে ফল ফুল ধরে না, মাঠে গাভী চরে না» যেখানে পাঁথরের বুকে ঝর্ণার ধারা ক্রমে শুকিয়ে যায়, সেখানে আমাঁকে তুমি ডেকো না। যেখানে চাদের আলো তরুণীর পায়ে হেটে বেড়াতে পারে না, যেখানে অলস পেচকেবর। রাত্রির চাদর গায়ে অচৈতন্য হয়ে ঘুমোয়, সেখানে আমাঁকে তুমি ডেকে। না । ৫৭ যেখানে কাননের শুষ্ক পত্র বৈশাখী বরধাক্স আনন্দে ভেজে না" যেখানে দুর্বা ঘাসে শরতের শিশিরকণ? মুক্ত হয়ে জমে ওঠে না, সেখানে আমাকে তুমি ডেকো না। যেখাঁনে সারা দিনের শ্রমের শেষে মেহনতী মানুষেরা রুটি খেতে পায় না, যেখানে বিশ্বাস ভালবাসা শাস্তি কেড়ে নিতে প্রবঞ্চনা ছুটে আসে, সেখানে আমাকে তুমি ডেকো । যেখাঁনে পৃথিবীর ঘরে ঘরে সৌন্দর্য মাধুর্য মনুয্যত ধনীর দম্ভে দুর্জনের হিংসাঁয় কুটিলের ষড়যন্ত্রে মুছে যায়, সেখানে আনাকে তুমি ডেকে! না। যেখানে দ্রুতগামী অশ্েরা ক্লীন্তিবোধ করে, ধামিকেরা নিত্রিত, যেখানে প্রস্তরমৃত্তির মধ্যে মনীষীদের শেষ সমাধি রচিত, সেখাঁনে আমাকে তুমি ডেকো না। যেখাঁনে জীবন সঙ্গীতের সব সুর ফুরিয়ে গেছে ঘ্বণ্য কান্নার শবে, যেখানে স্বর্গের দেবদূতেরা মদের নেশায় সহসা পলাঁতিক হয়েছে, সেখানে আমাঁকে তুমি ডেকো না ৫৮ অবচেতন সারা দিনের নান! কীজের চাপে আমি নিজেকে হাবাঁই। শুধুমাত্র নিরিবিলি রাঁত্তিরে বিছানায় ক্লাস্ত দেহটা রেখে অনুভব করতে পারি আমার পাথিব স্থিতি । আমার সম্ভা আসে দেহের পাশে। তখন দিনের নানা কথা নান! ভাঁবন। একে একে খুব কাছে আসে। পড়াঁর টেবিলে চিঠির গোলাগী প্যাড, সৌখীন কলমদানি। চিঠি লিখি নি। কুকুরট] কুগুলী পাঁকিয়ে লাল কাঁপেটের কোণায় শুয়ে রয়েছে জানালার পর্দায় লাগে বাতাসের স্পর্শ। টাঁইমপিসের কাঁটায় গতি। বদ্ধ ঘরের স্বয়ংসম্পূর্ণ জগতে আমি নিজের মুখোমুখী হয়ে বসি । রাঁত্তিরের শ্গিপ্কতায় ফুলের স্থবাস। গ্রামের আকাশের সব নক্ষত্রের এখানে এসেছে । ছোট্ট পাঁখীরা ঘুমোয়। রাখাল বালকেরা মাঠের মাঝে গাভীদের সঙ্গে খেলা করে। নদীর ঘাঁটে কুমারী যুবতী মেয়েরা কলপী কাখে জল আনে ব্ধাঁয়সীদের পশ্চাতে । মহাঁজনী নৌকো! সারি সারি বীধা। প্রৌট বৈরাগীর দৌতাবায় কৃষ্ণনাম গাঁন। জেলেদের নৌকোয় মাছের বাসি গন্ধ। আতা গাছের ডাঁলে ফিডে লেজ নাঁচিয়ে চেড়ায়। ধানের চারার! ক্রমে বাড়ে। আমি ঘরের নীল দেয়ালের দিকে চেয়ে থাকি। ঘুম আসে ন]। ভ্রংসন স্টেশন থেকে দূরগাঁমী ট্রেন ছাড়ে! ময়াল সাপের দেহ। প্লটফর্মে ভেগারের হাঁকাহীকি | ক্ষণিকের মেলা সাঙ্গ হয়। হাটের পসরা! নিয়ে গরুগাঁড়ী ধীরে ধীরে চলে। পড়ন্ত বেলায় সবুজ ঘাঁসের মাঠে ফুটবল খেলে ছোট ছেলেদের দল, কাঁদা মাথে আশ্বিনে হলুদ রোদে মেধ যদি ফাকে ফাকে বৃষ্টি ঝরায় | ডুমুরের ফল পাতা ঘুঘু শালিখের ডাকে সচেতন হয়ে গঠে | পুকুরের জলে হাঁস সাতার কাটে, পানকৌড়ী ডুব দেয় | নৈশ ভৌকজন শেষ । এবার ঘুমোব | 'আমার বিছান। পাতা । ৫৯ বহুণ্দন আগে কৌন জলসাঁঘরে আঁমি ইমনের স্থরে গাঁন গেয়েছি। সে গান ভুলেছি। সেই জলসার সব কথা মনে পড়ে না। লতাঁঝোপে হয়ত আজ ঘিরে আছে সেই ঘরথাঁনা, ভগ্ন তানপুরা, সেদিনের আমাদের সব চিহ্ন মুছে গেছে কালের চাকায় । কোন বাঁজপ্রাস।দের যুবরাজ হয়ে আমি শ্বেত অশ্থে দিগ্বিজয়ে যাঁই, রেশমী পোষাক, গলায় মুক্তৌর মালা, থিরে উন্নত উষ্ণীষ, দুর দেশে অসামান্য বাজকুমারীর প্রতীক্ষা । সেই আমি হারিয়ে গেছি। গ্লাসে ঢাকা ঠাণ্ডা জল পান করি। অনেক রাত হল । গাঁডের উজান ম্রোতে মালীর! ভাটিয়াঁলী গান যেয়ে যায়। ধানের ক্ষেতের বুকে বাতাসের অভিসার কুল খেজুর গাঁছের পাঁতীয়। খেয়ানৌকে| পারাপারে দাড় টানে পাটনী জলে শব্ধ তুলে, মাঁছরাঙ। গাঙচিল কাক বক মাছের তপস্তায় মগ্ন হয়েছে, বাদামী জলের শ্রোতে কচুরিপানারা ভাসে । আকাশে বিহঙ্গ ওড়ে । ামার লঞ্চে গাঁঙে ঢেউ জাঁগে দীর্ঘ বলাকার পাখনাঁর মতো । দুরের গ্রামের ঘাঁটে আানিরত নরনাবী, তীরে মন্দিরের ঘণ্টা বাজে । আমার চোখের পাতা! গুমের আবেশে বুঝি ভারী হয়ে ওঠে । কারখানায় শ্রমিকের। কাঞ্ করে বিদ্যুৎ-চীলিত মেশিনের পাশে, কনভেয়ার বেন্টের মতো! কেউ টেনে রাখে যেন জীবনের মূল্যবৌধটুকু ড্রিলিং মেসিন থেকে আত্মরক্ষার কোঁন উপায় উদ্ভাবিত হবে না, ফোরমান হাঁক্‌স দিয়ে হৃদপিণ্ড টুকরে। করে বাত্রির শেষ সিফটে । ঘরের পেছনে পাচিলে সাদ| বিড়াল শাবক রাত্রে মিউ মিউ” করে, মাঁছের কাটার গন্ধ ওপীশের ডাষ্টবিনে হয়ত সে সহসা পেয়েছে। রেডিওতে শেষ সংবাদ বোষিত হয়েছে । সমাপ্তি সঙ্গীত বাজে । হাতের কাছের স্থইচ অফ করে দেব। চোখে ঘুম নেমে আসে। ৬৩ কয়লা ঈশ্বরের দেবদূৃতের মতোই সে সহসা এল, সন্ধ্যার ছায়া! তখন নেমে এসেছে আমার ঘরে। বলল, চোখের জল মোছ। আমার খাঁচার পাখীকে সে হত্য। করল । মৃত পাঁখীকে পাঁতকুয়োর পাশে গাছের তলায় কবর দিলাম সে আর কোনদিনই অতীতের গান গাইতে পারবে না । আমার দেয়ালের সব ছবিগুলো সে ভেঙে দিল । সব স্বতির বিলুপ্তি । সাক্ষী রইল না। আমি হয়ত আর কোনদিনই কাদতে পারব না। বলল, হাস, ভালবাস । আমি হাসলাম । ভালবাসতে গিয়ে হেচট খেলাম । একখানা কঠিন কয়লা । সে আবারও বলল, হাঁস । এবার পারলাম না । আব কোনদিনই হাসতে পারব না । ৬৯ পরাজিত কোন শিশু পড়ে যদি ম্বত্যুর কুহক গহববে, বরফের মতো দুই ফোট] অশ্রু তাঁর চোখে ঝরে, শ্মিত হাসি আকা থাঁকে অধবের ফাকে, দিনাক্তে খেলার শেষে যেমন সে ঘুমাঁয়ে থাকে ৷ নির্দয় লীলায় স্বত্যু এমনি হয়ত কোনখাঁনে ভ্রমবশে নিজ অপম্বত্যু ডেকে আনে । শিশুর স্বৃত্যু, সে ততো ম্বতুযু নয়, প্রস্থানের শেষ ; শুভ্রবণ মুখে তাঁর নেই কোন যন্ত্রণার লেশ | পঝাজিত স্বত্যুর দম্ভ অপিকার . সব মৃত শিশুরাই করে অস্বীকাঁর। গোলাপের মখমল শয্যার ভপতর শ্বেত পাথবের হিম পুভ্তলিকা1 নব কলেবনে শাযিত | পাখীর। তাঁকে ঘিরে গাল গায়। স্বত্যু কোথায় ? মৃত্যু আসতে ভঙ্ব পায় । ২৬০২ উল্ভিদ ওরা কবর খুঁড়ল। শবটিকে সস্তর্পনে স্থাপন করল। মাঁটি চাঁপা দিল | ফুল ছড়িয়ে দিয়ে আমেন” বলল । কীদল। মুখে রুমাল চাপা দিয়ে চলে গেল। পেছন ফিরে তাকাল না । নিশ্চিত মৃত্যুর পরে অস্তিম শয়ন । দীর্ঘ সংগ্রামের অবসান । কববখানা নিস্তব | দেবদার গাছের পাতায় শিরশিরে হাওয়া । নাগকেশরের পাপড়ি ঝরে পড়ে ধুলোর পরে ঘাসের পাশে । পরম শাস্তির মতো সন্ধ্যা নামে । অদূরে গীর্জার ঘণ্টা বাঁজে। বৃক্ষরোপন | মাটিতে বীজ বোনা । দেহের বস্ততে মাটির সার। অতীত মৃত অথবা পলাতক । অগ্কুরিত শিশু বৃক্ষ ৷ নব জন্মে অন্য দেহ । উদ্ভিদ | তারপর শীতে পত্র ঝরা; ঝড়ে কিংবা বার্ণক্যে পতন | ওরা হয়ত জানল না। উত্ভিদের। মানুষেরা প্রতি মুহূর্তে জন্মে বাঁচে মবে। ওর! চলে গেছে । তবু ম্বত শাখা শু পত্র বস্তুতে বিলীন । নিত্য জন্ম শত শত কবরের পরে । জানলে, ওরা কাঁদত না। ৬৩ আকাশ সাগর মাটি আমার মনের আকাশেতে আক চক্র স্হষ তালা, আমার মাটিতে বনানীব মলা, জীবনেল নব সাড়া । আমান সাঁগত্র কত যে মুক্ত বালুক বিহ্চ্ক কেউ, আমার হদস্কে কত্ত যে ব্রেম, কোথাও দেখেনি কেউ ।